What is Colon Cancer: যে রোগযন্ত্রণা সহ্য করে লড়াই চালিয়ে ছিলেন পেলে সেই কোলন ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?

ফুটবল বিশ্বে মারাদোনার জীবনাবসানের শোক কাটতে না কাটতেই আরও এক কিংবদন্তীর প্রয়াণ সংবাদ। ফুটবল সম্রাট পেলের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর অগণিত ভক্ত। সদ্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁর টিউমার। তার বহু আগে থেকেই দীর্ঘ লড়াই ছিল তাঁর ক্যানসারের সঙ্গে। ভুগছিলেন কোলন ক্যানসারে। এরপর সমস্ত লড়াই শেষ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পেলে। যে রোগযন্ত্রণা নিয়ে তিনি ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন, সেই কোলন ক্যানসারের কিছু দিক সম্পর্কে একনজরে কিছু তথ্য দেখে নেওয়া যাক।

কেমোথেরাপির পর থেকে বহুদিন ধরেই চলছিল পেলের কেমোথেরাপি পরবর্তী নানান চিকিৎসা। সদ্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেও,জানানো হয়েছিল তিনি ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে সমস্ত আশা ছিন্ন করে শেষের দিনগুলিতে নিদারুণ যন্ত্রণা সহ্য করে তাঁর পরলোকগমন হয়। যে কোলন ক্যানসারে তিনি কষ্ট পেয়েছেন তা চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা ততটা সহজ নয়। দেখে নেওয়া যাক কোলন ক্যানসাের কিছু লক্ষণ।

কোলন ক্যানসারের কিছু লক্ষণ

১)আচমকা বমিবমিভাব, গা গুলিয়ে উঠতে থাকলে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, কোলন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হিসাবে উঠে আসে।

২)নজরে রাখতে হবে মলত্যাগের অভ্যাসকে। মলত্যাগের অভ্যাস যদি আচমকা বদলে যেতে থাকে, বা মলত্যাগের ধরনে বদল আসে আচমকা তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। দিনে কতবার মলত্যাগ হচ্ছে, বা মলত্যাগের সময় মলের ধরনে পাল্টে যাচ্ছে কি না তার দিকে নজর রাখতে হবে। দেখতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা চলতে থাকছে কি না।

৩) মলত্যাগের সময় মলদ্বারে যন্ত্রণা একটি ভয়াবহ দিক। এছাড়াও মলত্যাগ করার পর ভিতরে মল রয়ে যাচ্ছে এমন অনুভূতি হলে তা নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

৪) মল যদি সরু ফিতার মতো আকারে বের হতে থাকে, তাহলে তা নিয়ে সতর্কতা জরুরি।

৫)এছাড়াও লক্ষ্য রাখতে হবে মলদ্বার থেকে রক্তপাত হচ্ছে কি না। মলদ্বারে অনেক সময়ই অর্শের কারণে রক্তপাত হয়। তবে, অর্শের কারণে যে রক্তপাত মলদ্বারে হয় তার রক্তের রঙ লাল, আর কোলন ক্যানসারের কারমে যে রক্তপাত হয়ে থাকে তাতে রক্তের রঙ কালচে লাল।

৬) কোলন ক্যানসারের ফলে রক্তাল্পতা দেখা যায়, ডেকে আনে ক্লান্তি।

উল্লেখ্য, এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখলে আগে চিকিৎসের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। সমস্ত ক্ষেত্রেই যে এই উপসর্গই উদ্বেগের কারণ তা নয়, তবে বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি।