তালিকা ২০১৮ সালের, আবাস যোজনায় সব থেকে বেশি নাম বাদ গিয়েছে পূ মেদিনীপুরে: অভিষেক

প্রধানমন্ত্রী আবার যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের দুয়ারে চলছে বিক্ষোভ। এই অবস্থায় দুর্নীতির দায়ের একাংশ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূলের নতুন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সব থেকে বেশি নাম বাদ পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।’

আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে জেলায় জেলায় কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতারা। কোথাও কোথাও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের একাধিক আত্মীয়ের নাম রয়েছে তালিকায়। কোথাও পাকা বাড়ির বাসিন্দা দলীয় কর্মীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ঘর। যার বিরোধিতায় প্রায় সর্বত্র পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি, দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। বিক্ষোভ হচ্ছে প্রশাসনিক দফতরগুলিতেও। যে চাপের মুখে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রাধান ও সদস্য। রবিবার অবশেষে এই নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক।

তিনি বলেন, ‘তালিকা তৈরি হয়েছিল ২০১৮ সালে। আর সব থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। দায়িত্বে কে ছিল নাম আমি বললাম না।’ তাঁর সংযোজন, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ৪০ শতাংশ নামই বাদ গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। দায়িত্বে কে ছিল? কোন পরিবার ছিল? প্রধান কারা নির্বাচিত করেছিল? দলের তরফে ভুল হয়েছে। আমরা একজনকে বিশ্বাস করেছিলাম। সেজন্য কাঁথির জনসভায় মানুষের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, প্রকৃত প্রাপকরাই যেন ঘর পান। তালিকা যেখান থেকেই আসুক না কেন প্রতিটি নাম যাচাই করে দেখা হবে। তাতে ৬ – ৮ মাস লাগার কথা। কিন্তু আমাদের সরকার তা ১ মাসে করে দেখিয়েছে।’

পালটা বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেন, ‘তালিকা পঞ্চায়েত প্রধান বা বিডিও বানাননি। এই তালিকা বানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। অধিকারীদের ওপর দোষারোপ করে লাভ নেই। তাদের সঙ্গে এই তালিকার কোনও সম্পর্ক নেই।’