Dakshin Dinajpur: চাকরি দেওয়ার নাম করে তুলেছিলেন লক্ষাধিক টাকা, আত্মহত্যা করলেন স্কুল শিক্ষক

চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষক। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরাতে পারেননি। টাকা ফেরত চেয়ে পাওয়ানাদারদের চাপে শেষমেষ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই স্কুল শিক্ষক। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি থানা এলাকায় একটি হোটেল থেকে ওই স্কুল শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম মানিকচন্দ্র সরকার (৪৭)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বালুরঘাট শহরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মানিকচন্দ্র দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি থানা শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। সেখানে একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০০২ সাল থেকে তিনি ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে তিনি অনেকেই সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাউকে নার্স, কাউকে স্বাস্থ্য দফতর, আবার কাউকে অন্য বিভাগে চাকরি দেইয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইমতোই কয়েক লক্ষ টাকা তিনি অনেকের কাছেই তুলেছিলেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো কাউকেই চাকরি দিতে পারেনি তিনি। তার ওপর সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে একের পর এক বহু নেতা, আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছে। এই ঘটনার পরেই ওই শিক্ষকের কাছে টাকা চেয়ে চাপ দেন পাওয়ানাদাররা। কিন্তু, সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেননি তিনি। তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি অবসাদে ভুগছিলেন।

জানা গিয়েছে, তাঁর আত্মহত্যার কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন পাওনাদার তাঁর বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। তারপরে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার দুদিন পরে ওই হোটেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে পুলিশ করলেও এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন তাঁকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের দুর্নীতির মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।