ভারতে সমস্ত ডিভাইসে USB Type-C চার্জার বাধ্যতামূলক নাও হতে পারে: রিপোর্ট

USB-C-কেই ‘স্ট্যান্ডার্ড’ হিসাবে মান্যতা দিয়েছে বিশ্ব। সেই পথে হেঁটেছে ভারতও। বিদেশি বৈদ্যুতিক পণ্য নির্মাতাদের ২০২৫ সালের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, সব ডিভাইসেরই উপরে এই নিয়ম প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। কিছু ডিভাইসের ক্ষেত্রে হয় তো USB-C-র নিয়ম আবশ্যিক হবে না।

ফিচার ফোন, ওয়্যারেবল (স্মার্টওয়াচের মতো), হেডফোন ইত্যাদির ক্ষেত্রে USB-C পোর্টের নিয়ম থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। শুধুমাত্র স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। আরও পড়ুন: আলাদা চার্জারের দিন শেষ, সব স্মার্টফোনে টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট, সিদ্ধান্ত ভারতের

এর পিছনে কারণ কী? একটিই সাধারণ চার্জার হলে ব্যবহারকারীদের সুবিধা হবে বটে। কিন্তু নির্মাতাদের দাবি, স্মার্টওয়াচ, ফিচারফোন ইত্যাদির ক্ষেত্রে নতুন USB-C-তে স্থানান্তর করতে হলে সেক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। দ্রব্যের দামও বাড়বে। ফলে সেগুলির দাম আরও বেড়ে যাবে।

ফিচারফোনের বিষয়ে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেন নির্মাতারা। EU-এর মতো স্থানে এখন আর সেভাবে বোতাম টেপা ফিচার ফোনের বাজার নেই। তাই সেখানে এই নিয়ম চালু হতেই পারে। কিন্তু ভারতে এখনও ফিচার ফোনের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। এদেশে এখনও প্রায় ২৫ কোটি মানুষ ফিচার ফোন ব্যবহার করেন। ফলে ফিচার ফোনে যদি USB-C করতে গিয়ে ফোনগুলির দাম বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে বিক্রিতে প্রভাব পড়বে। এর পাশাপাশি এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে এমনিতেও USB-C পোর্ট নেই। ফলে তাঁদের নতুন করে চার্জার কিনতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত দ্রব্যের ক্ষেত্রে USB-C পোর্টের নিয়ম আবশ্যিক করা হয়েছে।

ভারতেও ঠিক একইভাবে আগামী ২০২৫ সালের মার্চের ‘ডেডলাইন’ স্থির করা হয়েছে। একইভাবে ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই নিয়ম গ্রহণের সময়সীমা স্থির করা হয়েছে। আরও পড়ুন:  USB Type-C বাধ্যতামূলক করল ইউরোপ! আর আলাদা চার্জার বেচতে পারবে না Apple

এর পিছনে লক্ষ্য হল,

১. ই-বর্জ্য দূর হবে। বারবার আলাদা-আলাদা ফোনের জন্য ভিন্ন চার্জার, তারের প্রয়োজন হবে না।

২. দ্রব্যের দাম কমবে। নির্মাতাদের আলাদা করে চার্জারের দাম যোগ করতে হবে না। অথবা ব্যবহারকারীদের আলাদা করে চার্জার কিনতে হবে না। আগের ফোনের USB-C চার্জার দিয়েই নতুন ফোন/ডিভাইসে চার্জ দেওয়া যাবে।

অ্যাপেলের মতো প্রিমিয়াম ডিভাইসের ক্ষেত্রে ভিন্ন চার্জার ব্যবহার করতে হয়। ফোনের বক্সের সঙ্গে সেই চার্জার দেওয়াও হয় না। আগে সেই ফোন না থাকলে আলাদা করে চার্জার কিনতে হয় ব্যবহারকারীদের। ফলে অ্যাপেলকে আইফোনের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনতে হবে।

তবে বর্তমানে বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস-ই USB-C ব্যবহার করে। ফলে সেক্ষেত্রে যাঁদের বর্তমানে এই চার্জার রয়েছে, পরেও এই চার্জার দিয়েই নতুন ফোন চার্জ দিতে পারবেন তাঁরা।