BJP: জেপি নড্ডার কড়া দাওয়াইয়ে তোলপাড় বঙ্গ–বিজেপি, জেলায় যাচ্ছে চিঠি, কী লেখা আছে?‌

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই জেলায় দলীয় সংগঠনের হাল কেমন তা জানতে চেয়ে জেলা সভাপতিকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (‌সংগঠন)‌ অমিতাভ চক্রবর্তী। আর এই চিঠি পাঠাতে হচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কড়া দাওয়াইয়ের জেরে বলে সূত্রের খবর। এতদিন রাজ্য বিজেপি নেতাদের অনেক কথা শুনেছেন তিনি। কিন্তু সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পাণ্ডের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের ভর্ৎসনা করেছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।

এদিকে সম্প্রতি রাজ্যের ৪২টি সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতিদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জেলায় সংগঠনের পরিকাঠামো যতটা গড়ে উঠেছে সেটার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট অবিলম্বে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্ট তার পর পাঠিয়ে দেওয়া হবে নয়াদিল্লিতে। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সফরে আসা বাতিল করেছেন নড্ডা–শাহ ও মোদী।

অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৪ আসনের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন অমিত শাহ–জেপি নড্ডারা। আর তা পেতে হলে সংগঠন অত্যন্ত শক্তি ভিতের উপর দাঁড় করানো উচিত। জেলার কোন কোন আসন মোদীজির হাতে তুলে দিচ্ছেন তাও নাকি জানাতে হবে রিপোর্টে বলে সূত্রের খবর। এই রিপোর্ট যদি ভুলে ভরা হয় তাহলে নেতাদের উপর কোপ পড়তে পারে। তাই বিস্তর খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনেই বোঝা যাবে সংগঠনের হালহকিকত।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ জেলা সভাপতিকে যে রিপোর্ট পাঠাতে হবে সেখানে মোট ৫ দফা তথ্য দিতে হবে। এক, জেলা কমিটি–জেলা মোর্চা, বিভাগ ও সেলের কর্মকর্তাদের নাম ও ফোন নম্বর। দুই, জেলার অধীন সমস্ত মণ্ডল, অঞ্চল, ব্লক, শক্তিকেন্দ্র এবং বুথের তথ্য। তিন, এখনও পর্যন্ত কত বুথ কমিটি ও তার নির্বাচিত সভাপতি করা গিয়েছে তার হিসাব। চার, সংগঠন কতটা মজবুত এবং পাঁচ, নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে আছে।

কে, কী বলছেন এই বিষয়ে?‌ এই নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‌বিজেপি একটা সংগঠন নির্ভর গণতান্ত্রিক দল। জেলা থেকে বুথের সাংগঠনিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন রাজ্য করে না। যে কোনও তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের ওপরেই রাজ্য আস্থা রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূলে কোনও গণতন্ত্র নেই।’‌ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা সংগঠক তাপস রায় বলেন, ‘‌আসলে আমরা তো এটাই জানি। ভোট এলে রাজ্য বিজেপিতে কমিটি, সংগঠনের কথা শোনা যায়। বাকি সময় ভোঁ ভাঁ। আমরা ৩৬৫ দিন, ১২ মাস, টোয়েন্টি ফোর ইনটু সেভেন পার্টি করি। আর, ওরা হল মরশুমী, পরিযায়ী ভোট পার্টি।’‌ সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের এই চিঠি পাবার পরে, জেলা নেতৃত্বের অনেকে মনে করছেন,নড্ডার দাওয়াইয়ে নিজেদের দোষ ঢাকতে রাজ্য নেতৃত্ব এবার তাদের বলির পাঁঠা করতে চাইছে।