Malda Shootout: পরপর দু’‌রাউন্ড গুলি স্বর্ণব্যবসায়ীকে, শীতের রাতের শুটআউটে কেঁপে উঠল মালদা

এবার মালদার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। আর এই শুটআউটের ঘটনায় মালদা জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ শীতের রাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে এই শুটআউটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আর গুলি যখন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তখন পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আহত অবস্থায় সোনা–সহ নগদ টাকা লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মালদার গাজোলে রেলসেতু এলাকার ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ব্যবসায়ী সমীরণ কর্মকার।

ঠিক কী ঘটেছে মালদায়?‌ স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে খবর, সমীরণ কর্মকারের বাড়ি গাজোলের গোসানিবাদ এলাকায়। তিনি চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন। তারপর বুধবার রাতে সোনার দোকান থেকে মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই স্বর্ণব্যবসায়ী। তখনই তিনটি মোটরবাইকে দুষ্কৃতীরা তাঁর পিছু নেয়। সমীরণবাবু গাজোল রেল সেতু পার করার আগেই তাঁকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। সেটা না লাগায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। তাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে সব লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা।

তারপর ঠিক কী হল?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মোটরবাইক–সহ মাটিতে পড়ে যেতে দুষ্কৃতিরা সব লুট করে চম্পট দেয়। স্বর্ণব্যবসায়ীর আর্তনাদ শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। এরপর ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছিলেন। মাথায় এবং পীঠে আঘাত লেগেছে। চোট বেশ গুরুতর বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর নাম সমীরণ কর্মকার। গুলি মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। তখন পাথর ছুঁড়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে প্রায় ২০ ভড়ি সোনার গয়না এবং প্রায় পাঁচ কেজি চাঁদির অলংকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্তকে গাজোল থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক যুবক মোথাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা। বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।