Rahul Gandhi on T-Shirt: ‘আমি তাও টি-শার্ট পরি, অনেকে তো ছেঁড়া জামা পরে; টিভিতে তা দেখানো হয় না’, মন্তব্য রাহুল গান্ধীর

কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে। এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। তবে এরই মধ্যে শুধুমাত্র সাদা রঙের একটি টি-শার্ট পরেই নিজের যাত্রা জারি রেখেছেন রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে মিডিয়াতে চর্চা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলেছে। কংগ্রেস নেতারা এই নিয়ে রাহুলের প্রশংসা করেছেন। এই আবহে আজ রাহুল গান্ধী বললেন, ‘আমি তাও টি-শার্ট পরি, অনেকে তো ছেঁড়া জামা পরে। কিন্তু টিভিতে তা দেখানো হয় না।’

কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও শুধুমাত্র একটি কার্গো প্যান্ট এবং হাফ হাতা সাদা টি-শার্ট পরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এই নিয়ে আজ উত্তরপ্রদেশের ভাগপতে তিনি বলেন, ‘আমার টি-শার্ট পরার ইস্যুটা আসল সমস্যা নয়। ভারতের শিশু, কৃষক ও শ্রমিকরা, শীতকালে গরম কাপড় ছাড়া ঘুরে বেড়ান। সেটাই আসল সমস্যা।’ এরপর রাহুল আরও বলেন, ‘আমি টি-শার্ট পরে (ভারত জোড়ো) যাত্রায় হাঁটছি। গরীব কৃষক ও শ্রমিকের অনেক ছেলেমেয়েরা ছেঁড়া কাপড় পরেই আমার সঙ্গে যাত্রায় হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু মিডিয়া জিজ্ঞাসা করে না কেন শীতের মরশুমে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকদের শিশুরা সোয়েটার বা জ্যাকেট ছাড়া হাঁটছে?’

এর আগে যেভাবে ঠান্ডার মধ্যে শুধুমাত্র একটি টিশার্ট পরে ভোরবেলা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়েছিলেন, তাতে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। রাহুল গান্ধীকে ‘তপস্যী যোগী’ এবং রামের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। প্রসঙ্গত, গতমাসে ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ‘বীরভূমি’ (রাজীব গান্ধীর সমাধিস্থল), ‘শক্তিস্থল’ (ইন্দিরা গান্ধীর সমাধিস্থল), ‘শান্তিবনে’ (জওহরলাল নেহরুর সমাধিস্থল) গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর গায়ে ছিল শুধুমাত্র একটি টি-শার্ট। এরপর থেকেই রাহুলের টি-শার্ট পরা নিয়ে মিডিয়াতেও চর্চা। এই নিয়ে এর আগে রাহুল বলেছিলেন, ‘যাঁরা শীতে ভয় পান, তাঁরাই সোয়েটার পরেন। আমি শীতে ভয় পাই না।’ তিনি এও বলেছিলেন ‘যতদিন চলবে এই সাদা টি-শার্ট পরব।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৯ দিনের বিরতীর পর গত ৩ জানুয়ারি ফের চালু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ হয়ে যাত্রাটি শ্রীনগরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। উত্তরপ্রদেশে ১২০ কিমি পথ অতিক্রম করার কথা রাহুল গান্ধীর। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’।