Medical: ভবঘুরেদের দেহ হন্যে হয়ে খুঁজছে মেডিক্যাল কলেজ, কারণটা জেনে নিন

মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পড়াশোনার অঙ্গ হল শব ব্যবচ্ছেদ করা। এবার রাজস্থানের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, অনাথ বা ভবঘুরে কোনও মানুষের মৃত্যু হলে সেই মরদেহ মেডিক্যাল কলেজে আনার সুযোগ দেওয়া হোক। কারণ মরদেহের সংকট দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে একটাই মরদেহে গ্রুপ স্টাডি করা হচ্ছে। কোটা ও ঝালওয়ারের মেডিক্যাল কলেজের তরফে এনিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

কোটা মেডিক্যাল কলেজে ২৫০জন পড়ুয়ার প্র্যাক্টিকাল ক্লাস ৮-১০টি দেহ দিয়ে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঝালওয়ার মেডিক্যাল কলেজের ২০০জন পড়ুয়ার প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের জন্য বরাদ্দ ৬টি দেহ। এদিকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুসারে ১০জন পড়ুয়ার জন্য একটি দেহ রাখা জরুরী।

আসলে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য এই শব ব্যবচ্ছেদ করা অত্যন্ত জরুরী। মূলত রোগ নির্ণয় করা, মৃত্যুর কারণ নির্ধারন করার জন্য শব ব্যবচ্ছেদ করার রীতি রয়েছে। একাধিক সরকার পরিচালিত মেডিক্যাল কলেজে মূলত দান করা মৃতদেহের উপর নির্ভর করতে হয়।

এদিকে সরকারি মেডিক্য়াল কলেজে দেহের ব্যপক অভাব দেখা দিয়েছে। ঝালওয়ারের ডিন শিব ভগবান শর্মা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে তিনি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে এই ধরনের মৃতদের মেডিক্যাল কলেজে দেওয়া হয়।বিভিন্ন সেল্টার হোমে অনেকের মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই দেহের দাবিদার সেভাবে কেউ থাকেন না। আর সেই দেহ মেডিক্যাল কলেজে দেওয়া হলে পড়ুয়াদের অনেকটাই সুবিধা হতে পারে।

সরকারি মেডিক্যাল কলেজের দেহ দানের নোডাল অফিসার মনোজ শর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত কলেজে এমনকী বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও দেহের কিছুটা অভাব রয়েছে। তবে এসএমএস মেডিক্যাল কলেজ রাজস্থানের অন্যতম বড় মেডিক্যাল কলেজ। উদয়পুরের আরএনটি মেডিক্যাল কলেজও অনেকটাই বড়। সেখানে অবশ্য শবদেহের সেভাবে কোনও অভাব নেই।

আসলে উদয়পুরের সঙ্গে গুজরাটের সীমান্ত রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেহ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা থাকে।

ইতিমধ্যেই রাজস্থানের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ভবঘুরেদের দেহ পেতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। মূলত অনেক ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকভাবেই তাদের মৃত্যু হয়। তাদের দেহের কোনও দাবিদার থাকে না। তার জেরেই সেই দেহগুলি এবার চাইছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেটাও মেডিক্যাল শিক্ষার জন্যই।

এদিকে ভরতপুরের একটি এনজিও আপনা ঘর। সেখানে বহু অনাথ, ভবঘুরে লোকজন থাকেন। সেই হোম অবশ্য দেহ দিতে রাজি হয়েছে। সেই হোমের প্রতিনিধি বীরপাল সিং জানিয়েছেন,প্রতি মাসে ৪০-৫০জন করে আবাসিক সেল্টার হোমগুলিতে মারা যান। তাদের দেহ দেওয়া যেতেই পারে।