বিমানেই সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব, জেনে নিন অভিযুক্তকে কোথায় পাঠাল আদালত?

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার তাকে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লি আদালত। তবে পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। আদালত জানিয়েছেন পুলিশ রিমান্ডের জন্য আদালতকে নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ জানানো হয়নি।

মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট জানতে চেয়েছিলেন, কেন তিনদিনের জন্য পুলিশ কাস্টডি চাইছেন|? এরপর তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়ে দেন, কয়েকজন কেবিন ক্রু আর পাইলটের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। পাশাপাশি অভিযোগকারীর বয়ান নিতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত শঙ্কর কুমার মিশ্র তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না।

এদিকে অভিযোগকারীর তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, এফআইআর কপিও আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মামলার এফআইআরটি দেখার জন্য অনেকের উৎসাহ রয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারী ছাড়া তারা অন্য সবাইকে এফআইআর কপি দেওয়া হবে না।

এদিকে তদন্তকারী আধিকারিকের বক্তব্য শোনার পরে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ক্রু মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বা অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করার জন্য অভিযুক্তকে হাজির থাকতে হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই। এদিকে অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী মনু শর্মা জানিয়েছেন, অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এফআইআরে একটি ধারা ছাড়া সবকটাই জামিন যোগ্য।

এরপর আদালতের তরফে সবদিক বিবেচনা করে অভিযুক্তকে ১৪দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়নি শেষ পর্যন্ত। এদিকে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল এদিন। তবে আগামী ১১ জানুয়ারি ফের এনিয়ে শুনানি হবে।

এদিকে বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডকে ঘিরে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। শঙ্কর মিশ্র নামে ওই বিমানযাত্রী তার সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গত ২৬ নভেম্বর বিমানটি নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি আসছিল। এরপর বিমানেই এই প্রস্রাব কাণ্ড। এরপর বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া শুরু হতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এদিনই তাকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়। পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।