রাজ্যের মুখ্যসচিবদের বৈঠকে উপস্থিত মোদী, বড় নির্দেশ দিলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে…

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন। তিনি এদিন মুখ্যসচিবদের এই বৈঠকে জানিয়ে দেন, মানব সম্পদের উন্নয়নের উপর নজর দিন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপর জোর দেওয়া, স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে দ্বিতীয় মুখ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গুণমানটা রক্ষা করতে হবে। অপুষ্টি রোধে ও ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার ব্যাপারেও তিনি জানিয়েছেন।

মোদী বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে সবরকম প্রচেষ্টা করতে হবে।

তিনদিন ধরে এই সম্মেলন চলে। শনিবারই ছিল কনফারেন্সের শেষ দিন। ২০০ জনেরও বেশি আমলা, মুখ্যসচিবরা, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সিনিয়র আধিকারিকরা এই মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মাঝেমধ্য়েই সমণ্বয়ের নানা অভাব দেখা দেয়। এমনকী দুপক্ষের মধ্যে সংঘাতও কিছু কম হয় না। কার্যত দুপক্ষের মধ্যে সমণ্বয় আরও বৃদ্ধির জন্যও এই কনফারেন্স থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে এই ধরনের কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্মশালাতে সেবার কনফারেন্স হয়েছিল। তবে এবার দিল্লিতে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে এগিয়ে চলার উপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত রাজ্য় ও কেন্দ্রের মধ্যে যাতে সমণ্বয় বৃদ্ধি পায় তার উপর জোর দেন মোদী। আর সেই নিরিখেই এবার বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিবরা।

অনেকের মতে, এই ধরনের কনফারেন্স দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে বিশেষভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি যাতে রাজ্যে যথাযথভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রয়োগ করা হয় সেটা নিয়েও আলোচনা হয় এই কনফারেন্সে।

এদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বার বার অভিযোগ তোলে একাধিক রাজ্য। তবে এবার এই ধরনের কনফারেন্সের পরে সেই বঞ্চনার অভিযোগ কতটা কমে সেটাই দেখার।