TMC’s income: ১ বছরে নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের আয় বেড়েছে ১২গুণ, স্বচ্ছতা বজায় রেখে আয়, বলছে দল

শিল্পপতিদের কাছে কী তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে? নির্বাচনী বন্ড থেকে দলের আয়ের হিসাব সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী বন্ড (ইলেকট্ররাল বন্ড) থেকে তৃণমূলের আয় বেড়েছে ১২ গুণ। তবে আয় যেমন বেড়েছে তেমনি খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে হয়েছে বলে দলের অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আয় ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তৃণমূল। সেই অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃমমূলের আয় হয়েছিল ৪২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই আয় বেড়ে হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে শাসকদলের আয় ১২ গুণ বেড়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের জমা দেওয়া অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্বাচনী বন্ড বাদে দলের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা বাবদ, দলের মুখপত্র এবং অন্যান্য অর্থসংগ্রহ কর্মসূচি বাবাদ আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।

গত দু’বছরে দলের খরচও বেড়েছে অনেকটাই, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৃণমূলের খরচ হয়ছিল ১৩২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ২৬৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।

রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার জন্য চালু করা হয়েছিল ইলেক্টরাল বন্ড। যেহেতু ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে দলের আয় বড়েছে, তাই একে স্বচ্ছতা বজায় রাখার ইঙ্গিত বলে মনেকরছে দল। পাশাপাশি এক ধরনের ইলেকট্ররাল বন্ডে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি টাকা দিয়ে থাকেন। তাই শিল্পপতিদের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা যে বাড়ছে, ইলেকট্ররাল বন্ডের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এই আয় বৃদ্ধি নিয়ে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘আমাদের দল সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা রাখে। এ ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা বজায় রেখেই নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করা হয়েছে।’

তবে সিপিএমের এক নেতার কথায়, ‘এই আয় বৃদ্ধি তো শুধু খাতায়কলমে। গরু ও কয়লা পাচার করে আয় তো এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিবিআই-ইডি-র তদন্তেই তো সব উঠে আসছে। সেগুলি তো আর অডিট রিপোর্টে আসবে না।’