এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে শেষমেশ টাটা সনসের চেয়ারম্যান দিলেন বিবৃতি! উঠল ‘ব্যর্থতা’ প্রসঙ্গ

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব কাণ্ড নিয়ে শেষমেশ জবাব এল টাটা সনসের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক মহিলার গায়ে এক পুরুষ সহযাত্রীর প্রস্রাব ইস্যুতে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই অভিযুক্ত সহযাত্রী শঙ্কর মিশ্রকে। এরপরই টাটা সনসের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে রবিবার লেখেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার প্রত্যত্তর আরও একটু বেশি মসৃণ হওয়া উচিত ছিল এই ইস্যুতে।’

চন্দ্রশেখরনের বিবৃতিতে লেখা হয়,’ এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত হওয়া উচিত ছিল। এই পরিস্থিতি যেভাবে মোকাবিলা করা উচিত ছিল তাতে ব্যর্থ হয়েছি’। তিনি জানান,’টাটা গ্রুপ এবং এয়ার ইন্ডিয়া আমাদের যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার সাথে সম্পূর্ণ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা এই ধরনের অনিয়মিত প্রকৃতির যেকোন ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিটি প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করব।’

 উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক থেকে আগত বিমানে শঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সহযাত্রী মহিলার গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে। এরপর বিষয়টি নিয়ে ব্য়াপক হইচই শুরু হয়। তখনই দিল্লি পুলিশ শঙ্কর মিশ্রর নামে লুক আউট নোটিস জারি করে। সেই নোটিসের পর শনিবার শঙ্কর মিশ্রকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এদিকে, মার্কিনি নামী সংস্থা থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে শঙ্কর মিশ্রকে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রস্রাব করার অভিযোগ ঘিরেই সংস্থার ওই পদক্ষেপ। এদিকে, শঙ্কর মিশ্রর তরফের আইনজীবীর দাবি, গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাও হয়ে গিয়েছে। শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবীরা জানাচ্ছেন যে, তিনি ক্ষতিপূরণও দেন। এদিকে, বিমান সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর শঙ্কর মিশ্রকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি আর্জি জানান, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা না হয়। 

এদিকে, গতকালই ওই বিমানের আরও এক যাত্রী সুগত ভট্টাচার্য মুখ খোলেন। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই অপরাধমূলক। তবে, বিমান সংস্থার ক্রিউদের দোষ রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। উল্লেখ্য, এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ নভেম্বর ২০২২ সালে। তারপর দেড় মাস কেটে গিয়েছে। এই সময়কালের পর শেষমেশ এল টাটাসনসের চেয়ারম্যানের বার্তা।