Kunal Ghosh slams Suvendu Adhikari: ‘শহিদের রক্তের বিনিময়ে কেরিয়ার গড়েছেন শুভেন্দু’, নন্দীগ্রাম দিবসে তোপ কুণালের

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ৭ জানুয়ারির দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ হিসেবে। সেই উপলক্ষে কুণাল ঘোষ এদিন নন্দীগ্রামে ‘শহিদদের’ প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেখান থেকে তিনি শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতার শহিদ বেদীতে মালা দেওয়ার কোনও অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল অভিযোগ করেন, শুভেন্দু সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করছেন। তৃণমূল নেতা আরও অভিযোগ করেন, এককালে যারা সিপিএম করত, তাদেরকে পিছনে নিয়ে চলছেন শুভেন্দু। জবাবে শুভেন্দুও পালটা তোপ দাগেন কুণালকে। শুভেন্দু বলেন, ‘যাঁদের দেখছেন তাঁরা হালি নেতা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই।’

এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর শহিদ বেদীতে মাল্যদান করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। কারণ যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরা সবাই এই মঞ্চে রয়েছেন। যাঁরা আগে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁরা এখন শুভেন্দু অধিকারীর পিছনে ঘুরে বিজেপি করেন। শহিদের রক্ত নিজের কেরিয়ারের জন্য ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।’ কুণাল আরও বলেন, ‘ঈশ্বর যদি থাকেন, তাহলে কলার ধরে শুভেন্দুকে জেলে ভরব।’ কুণাল অভিযোগ করেন, শুভেন্দু হিন্দু-মুসলমানে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। কুণাল বলেন, ‘হারমাদরা যখন গুলি চালিয়েছিল, হিন্দু মুসলমান দেখে চালায়নি। সেখানে হিন্দুদেরও প্রাণ গিয়েছে, মুসলমানেরও প্রাণ গিয়েছে। আজকে ভোটের রাজনীতির জন্য হিন্দু মুসলমান ভাগ করা হচ্ছে।’

এদিকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে কুণাল বলেন, ‘আগে সিপিএম সকলকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে একের পর এক। সেই রাজনীতি আবার ফিরছে। বেইমান, গদ্দার শুভেন্দু সিবিআই, এনআইএ দেখিয়ে নিরাপরাধ তৃণমূল কর্মীদের, নিরাপরাধ নন্দীগ্রামবাসীকে জেলে ভরছে। ভগবান, আল্লাহ থাকলে একদিন কলার ধরে শুভেন্দুকে জেলে ভরব।’ কুণাল প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু? দুই বছর আগেও তো তিনি বলেছেন, মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও। মুখে সিবিআই সিবিআই বলে। সিবিআই-এর এফআইআর-এ ওঁর নাম। সিবিআই যদি নিরপেক্ষ হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিত।’

এদিকে কুণালকে পালটা তোপ দেগে আজ শুভেন্দু বলেন, ‘কিছু কিছু লোক যাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও যোগ ছিল না, তাঁরা আন্দোলনের ক্ষীর এবং মধু খাচ্ছেন। ওঁরা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখতে এ সব করছেন। কিন্তু পারবেন না।’