British airways new dress: জাম্পস্যুটের পাশাপাশি হিজাব! ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কর্মীদের পোশাকে অভিনব ছোঁয়া

প্রায় ২০ বছরের দীর্ঘ পরিষেবায় প্রথমবার নতুন ইউনিফর্মের প্রচলন করল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এবার থেকে মহিলা বিমান সেবিকারা জাম্পসুট পরতে পারবেন। সংস্থার তরফে এটিকে এয়ারলাইন ফার্স্ট হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কোম্পানির একটি সংবাদ মাধ্যম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান সংস্থা মহিলা বিমানকর্মীদের জন্য পোশাকের তালিকায় একটি টিউনিক এবং হিজাব অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার ওজওয়াল্ড বোয়াটেং-এর পাঁচ বছরের দীর্ঘ প্রকল্পের ফসল হল এই নতুন ডিজাইনের পোশাক। করোনার কারণে এটি চালু করতে দুই বছর দেরি হল। পুরুষদের জন্য ইতিমধ্যেই একটি থ্রি-পিস স্যুট পরবার সুবিধা রয়েছে। তবে মহিলা কর্মীদের জন্য পোশাক ছিল একটি স্কার্ট বা ট্রাউজার। এবারে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমান সংস্থা তার কর্মীদের জন্য টিউনিক এবং হিজাবের বিকল্প নিয়ে এল। গ্রীষ্মের মরশুম শুরু হওয়ার আগেই এই সংস্থার ৩০০০০ কর্মীদের প্রত্যেককে নতুন ইউনিফর্মে দেখা যাবে। এর মধ্যে থাকবে ইঞ্জিনিয়ার এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার কর্মীরাও।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান এবং সিইও শন ডয়েল জানান, সংস্থার ইউনিফর্ম সংস্থার ব্র্যান্ডের একটি দৃষ্টান্ত। এটিই সংস্থাকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আধুনিক ব্রিটেনের সবচেয়ে সেরা প্রতিনিধিত্ব করতেই এই পদক্ষেপ। একইসঙ্গে তিনি জানান, শুরু থেকেই আমাদের গ্রাহকদের জন্যই ভেবেই তৈরি করা এই পোশাকের তালিকা। আমরা এমন একটি পোশাক তালিকার নজির গড়তে চেয়েছি যা পরে আমাদের কর্মীরা গর্ববোধ করবে। আমাদের বিশ্বাস, ১৫০০ সহকর্মীর সাহায্য নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত তা করতে পেরেছি।’

নতুন ব্যবস্থায় ইউনিফর্ম বাছাই করার সময়, কর্মচারীরা তাদের পুরানো ইউনিফর্মটি আবার ব্যবহার করতে পারবে বা কাউকে দিয়েও দিতে পারবে। এই নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত ৯০ শতাংশ উপাদান পুনর্ব্যবহৃত পলিয়েস্টার থেকে তৈরি একটি বিশেষ ফেব্রিক মিশ্রণ। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের তরফে জানানো হয়, ডিজাইন ওয়ার্কশপ থেকে প্রোটোটাইপ ফিডব্যাক এবং গার্মেন্টস ট্রায়াল পর্যন্ত মোট ৫০ টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছিল ১৫০০-এর বেশি সহকর্মী। পোশাকের ডিজাইন নিঁখুত করতেই নেওয়া হয় এই প্রয়াস । তাদের কথায়, একটি আইকনিক সংগ্রহ তৈরি করতেই এই উদ্যোগ।