সুপ্রিমে Digital বিপ্লব,সহকর্মীদের হাতেকলমে শেখাচ্ছেন Tech-savvy প্রধান বিচারপতি

আব্রহাম থমাস

দেশের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্টে কার্যত ডিজিটাল বিপ্লব এনেছেন তিনি। আর তার সঙ্গেই অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে তিনি এখন কার্যত মেন্টর। হাতেকলমে তিনি শিখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে মামলার ফাইলগুলিকে দেখার জন্য ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়।

আর বৃহস্পতিবার সামনে এল সেই গোপন কথাটাই। একটি সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রধান ছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই বেঞ্চে বিচারপতি এমআর শাহও ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি( প্রধান বিচারপতি) আমার মেন্টর। এরপর প্রধান বিচারপতির দিকে তিনি তাকান। তিনি বলেন, তিনি আমাকে জোর করে প্রযুক্তি ব্যবহার শেখাচ্ছেন আর কীভাবে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকতে হবে সেটাই তিনি শেখাচ্ছেন।

এর সঙ্গে বিচারপতি শাহ উল্লেখ করেন, সময়ের সঙ্গে একজনকে এগিয়ে থাকতেই হবে। যদি আপনি সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করতে না পারেন তবে আপনার উন্নতি হবে না। কেউ থেমে থাকতে পারেন না।

এর জন্য তিনি সমস্ত কৃতিত্ব প্রধান বিচারপতিকে দেন। বিচারপতি শাহ বলেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের দরজা তিনি খুলে দিয়েছেন। আমার সহকর্মীরাও এখন প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন। তিনি বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি হিমা কোহলির কথা উল্লেখ করেন। তাঁরা এখন সকলেই ডিভাইসের মাধ্য়মে ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য়ের উপর নজর রাখছেন।

একেবারে খোলা মনে এই প্রসঙ্গ উঠে আসে এদিন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এর আগে একাধিকবার নিজেকে টেক স্যাভি নন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনিও এদিন স্বীকার করে নেন, আমরা এটা স্বীকার করে নিচ্ছি আপনার জন্যই আমরা এগুলি ব্যবহার করছি। এসবের মধ্যেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, দিল্লি- সেন্টার মামলাটি পেপারলেস করা হোক।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, কোভিড আমাদের এই ব্যাপারটিকে সামনে এনেছে। বিচারপতি শাহ বলেন, সব খারাপ জিনিসের পেছনেও একটা ভালো দিক থাকে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি দিল্লি সরকারের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনিও এই কথোপথনে যোগ দেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে দুঃস্বপ্নের পেছনেও একাধিক ইতিবাচক দিক থাকে। এমনকী সলিসিটর জেনারেল জানিয়ে দিয়েছেন, সিনিয়য় অ্যাডভোকেটদের বিচার সম্পর্কে ব্রিফ করার জন্য আর সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় না। তিনি বলেন, কোভিড আমাদের জীবনের পথটাই বদলে গিয়েছে। এখন ভার্চুয়াল মাধ্যমেও বিচারব্যবস্থা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনেকে সায় দিচ্ছেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup