Molestation in OT: অ্যাপোলোয় OT-তে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ, ৭ দিন পরও কেন নিশ্চুপ পুলিশ, প্রশ্ন মহিলার

অপারেশন থিয়াটারের মধ্যে এক মহিলাকে শ্লীলতাহানী অভিযোগ উঠল অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই মহিলা পুলিশের অভিযোগ জানান। অভিযোগ জানানোর পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। হাসপাতালের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ওই মহিলার অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যেই ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। কিন্তু সেই রিপোর্টেও গরমিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা।

বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা ওই মহিলা গলস্টোন অপারেশনের জন্য ইএম বাইপাসের ধারে কাদাপাড়ায় অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অভিযোগ, অপারেশন চলাকালীন তিনি যখন অচেতন অবস্থায় ছিলেন সেই সময় তাঁর যৌনাঙ্গে হাত দেওয়া হয়। তিনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে বলেন,’অপারেশন চলাকালীন আমার হালকা জ্ঞান ফিরে আসে। বুঝতে পারি আমার বুকে কেউ জোরে আঘাত করে। আরও বুঝতে পারি কেউ আমার যৌনাঙ্গে হাত দিচ্ছে। আমার জ্ঞান ফিরে আসছে বুঝতে পেরেই তারা ছেড়ে দেয়।’ মহিলা জানিয়েছেন, অপারেশনের পরে দেখেন তাঁর শরীরে একাধিক কালসিটে দাগ রয়েছে। এমন কি বুকে একটি ছিদ্র করা হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘গলব্লাডার স্টোন অপারেশনের জন্য কেন বুকে ফুটো করা হবে।’

 

পুলিশকে পাঠানো ইমেলের অংশবিশেষ।

গত ৫ জানুয়ারি এই ঘটনা হয়। মহিলা ৭ জানুয়ারি ফুলবাগান থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য আসতে বলা হয়। হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে তিনি বলেন,’ডাক্তারি পরীক্ষার পর চিকিৎসক আমাকে বলেন কিছু ক্ষণের মধ্যে আমাকে রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পরে তদন্তদাকারী অফিসার এসে জানান সোমবার সকালে এসে রিপোর্ট নিতে হবে।’ সেই রিপোর্টে জানানো হয় আপারেশন আগে থেকে তাঁর শরীরে ওই আঘাতগুলি ছিল।

তাঁর প্রশ্ন, চিকিৎসক দিনেরদিন রিপোর্ট দেওয়ার কথা বললেও তদন্তকারী অফিসার কেন দিতে চাইলেন না। তিনি আরও বলেন, অপারেশনের আগে থেকেই যদি শরীরে আঘাত থাকত তবে অপারেশনের সময় চিকিৎকরা কেন তা জানালেন না? গ্ললব্লাডার স্টোন অপরাশনের জন্য বুকের কাছেই বা কেন ফুটো করা হল?

প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে অভিযোগ করা হলে, অ্যাপোলোর পক্ষ থেকে তাঁকে কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থণা করা হয়। কিন্তু তার পর আর হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁর প্রশ্ন যদি অপারেশন কক্ষে কিছু না ঘটে থাকলে তবে কেন তাঁর কাছে এসে ক্ষমা চাওয়া হল? পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের কেন চিহ্নিত করছে না?

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার পক্ষ থেকে অ্যাপেলো হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

পুরো ঘটনাটি মহিলা ইমেল করে সিপি এবং জয়েন্ট সিপিকে জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দিকে থেকেও মহিলার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার করছে অ্যাপালো হাসপাতাল।’

কলকাতা পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। কেউ আইনে উর্ধ্বে নয়। সাক্ষ্যপ্রমাণে কোনও কারসাজি করা যাবে না।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup