Fund Raised for Navy Veteran:৮২ বছর বয়সেও চাকরি করতেন! বৃদ্ধের অবসরের জন্য ৮০ লক্ষ টাকা তুলল নেটপাড়া

অবশেষে অবসর জীবন শুরু করতে পারবেন ওয়ারেন ম্যারিয়ন। মার্কিন মুলুকের ৮২ বছরের এই প্রাক্তন সেনাকর্মী এতদিন ওয়ালমার্টে দোকান কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। সবার নজরে বিষয়টি আসার পর তাঁর জন্য একটি ক্রাউডসোর্সিংয়ের আয়োজন করা হয়। তার মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ মার্কিন ডলার তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। ফলে বাকি জীবনে উপার্জন নিয়ে অন্তত তাঁকে আর চিন্তা করতে হবে না।

মেরিল্যান্ডের কাম্বারল্যান্ডের বাসিন্দা ওয়ারেন। ৮২ বছর বয়স হয়ে গেলেও তিনি জীবনযাপনের জন্য এতদিন কারও কাছে হাত পাতেননি। ওয়ালমার্টের দোকানে ঘণ্টা হিসাবের বেতনে কাজ করতেন। তবে সম্প্রতি তাঁর বিষয়টি ইন্টারনেটে তুলে ধরেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। রয় ম্যাককার্টি নামের ওই ব্যক্তি অনলাইনে ওয়ারেনের জন্য একটি ফান্ডরেইজারের আয়োজন করেন। আরও পড়ুন: ‘আপনার যা খুশি অর্ডার করুন, আমি বিল মেটাব,’ ভাইরাল মানবিক ভিডিয়ো

এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভাল, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের দৌলতে অনলাইনে অনুদান সংগ্রহ করা যায়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও কারণ ব্যাখা করে এই ওয়েবসাইটগুলিতে ক্রাউডফান্ডিংয়ের আয়োজন করা যায়। সেটি পড়াশোনার খরচ তুলতে হতে পারে। কারও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিত্সার জন্যও হতে পারে। এক্ষেত্রে ওয়ারেনের অবসর গ্রহণ করতে সাহায্য করার জন্য এই ক্রাউডফান্ডিংয়ের আয়োজন করা হয়।

দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, রয় ম্যাককার্টি নামে ও ক্রাউডফান্ডিয়ের আয়োজক টিকটকে বেশ জনপ্রিয়। একটি ভিডিয়ো বানানোর সময়ে ওয়ারেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেই সূত্রেই তিনি জানতে পারেন, কীভাবে সারা জীবন সত্ পথে থেকে এবং পরিশ্রম করেও এখনও পর্যন্ত অবসর গ্রহণ করতে পারেননি ওয়ারনার। এই বৃদ্ধ বয়সে এসেও ওয়ালমার্টে দোকান কর্মী হিসাবে কাজ করে চলেছেন। তবুও তার মুখে সদাই হাসি।

তিনি জানান, ‘আমি ওই ছোট্ট, বৃদ্ধ লোকটিকে এই বয়সে এসেও এত পরিশ্রম করতে দেখে অবাক হয়ে যাই। এই বয়সে এসেও তিনি রোজ ৮-৯ ঘণ্টার শিফটে কাজ করে চলেছেন।’ ওয়ারেনের জীবনের সেই করুণ কাহিনী তিনি তুলে ধরেন GoFundMe-র ওয়েবসাইটে। সেই সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই বিষয়টির প্রচার করেন।

শান্ত, মিষ্টি স্বভাবের এই বৃদ্ধের কাহিনী ছুঁয়ে যায় হাজার হাজার হৃদয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই ফান্ডিং। সকলে তাঁদের সাধ্য মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অল্প সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রারও বেশি পরিমাণে টাকা উঠে আসে। মাত্র এক মাসেই ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের ফান্ডিং হয়ে যায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। আরও পড়ুন: দিনে আয় ১৫০ টাকা! সংসারের বোঝা বইতে ফুড ডেলিভারি ভারতের হয়ে খেলা পৌলমীর, কথা দেবাংশুর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে এক সময়ে কাজ করেছেন এই বৃদ্ধ। এবার থেকে তিনি ফ্লোরিডায় ইচ্ছা মতো ছেলেমেয়ের কাছে বেড়াতে যেতে পারবেন। একটানা কাজ করার চাপ থেকেও তিনি মুক্তি পাবেন।