তৃণমূলকে উৎখাত না করা পর্যন্ত বিজেপিতেই থাকব: শংকর ঘোষ

তাঁর নামে পরিকল্পিতভাবে দলবদলের জল্পনা ছড়াচ্ছে কেউ বা কারা। এই অভিযোগ তুলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। মঙ্গলবার বিকেলে যে গুজব রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছিল একইসঙ্গে তাতে জল ঢাললেন তিনি। বললেন, তৃণমূলকে উৎখাত না করা পর্যন্ত বিজেপিতেই থাকব।

মঙ্গলবার বিকেলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে দেখা করতে গিয়েছেন ২ বিজেপি বিধায়ক। দলবদলের অংক বুঝে নিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কারা সেই বিধায়ক তা অবশ্য তৃণমূলের তরফে জানানো হয়নি। এর পর সংবাদমাধ্যমের একাংশে ভাসতে থাকে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ ও মেদিনীপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। ওদিকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হতেই ফেসবুক লাইভ করেন শংকরবাবু। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ যে খবর পরিবেশন করছে তা অসত্য। আমি কারও সঙ্গে কোথাও দেখা করতে যাইনি। সকাল থেকে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ছিলাম। তার পর দলীয় বৈঠকে যোগ দিই। যারা আমার নামে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের আইনি নোটিশ পাঠাব।

এদিন শংকরবাবু বলেন, যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন যে আমি কখনও তৃণমূলে যোগদান করতে পারি না। তৃণমূল রাজ্যের যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে তা উদ্ধারের জন্যই বিরোধী দলের সঙ্গে রয়েছি। ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হিসাবে আমি গর্বিত। তৃণমূলকে উৎখাত না করা পর্যন্ত বিজেপিতেই থাকব।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক দিন আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শংকরবাবু। বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি কেন্দ্রে নিজের রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেন তিনি। এর পর রাজ্য বিজেপির পরিষদীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন সুবক্তা এই যুব নেতা।

মঙ্গলবার রাতে এক টুইটে আরেক বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনি বর্তমানে ইন্দৌরে রয়েছেন।