দাড়ি কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে অফিস যেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই কারণে রোজ বাড়িতেই দাড়ি কাটেন তারা। নিয়মিত স্নানের আগে দাড়ি কাটলে দেখতেও বেশ পরিচ্ছন্ন লাগে। তবে অনেকসময় নিজে নিজে দাড়ি কাটতে গিয়ে গাল জ্বালা দেয়। মাঝে মাঝে ত্বকে চুলকানিও হয়। আসলে ক্ষুরের ব্যবহারের কারণেই এই সমস্যা হয়। তাই নিয়মিত ক্ষুর ব্যবহার করার পর জ্বালা কমাতে উপশমদায়ী দ্রব্য লাগানো উচিত। নয়তো এই জ্বালা আরও বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে এর থেকে ত্বকে ব়্যাশ, জ্বলুনি ও চর্মরোগও দেখা দিতে পারে। রেজার চালানোর পর ত্বকের জ্বালা ভাব কাটাতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যথেষ্ট উপকারী। এগুলির উপর নিশ্চিন্তে ভরসা রাখা যায়। চলুন জেনে নিই, শেভিংয়ের পর ত্বকে জ্বলুনি, চুলকানি, লালচে ভাব কমাতে কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান সাহায্য করে-
টি ব্যাগ: চায়ে ট্যানিন নামের উৎসেচক থাকে। এটিই চায়ের রং আরও সুন্দর করে। তবে এই চায়ের উপাদানই ত্বকের জ্বলুনি কমিয়ে দিতে পারে। শেভ করার পর একটি ভিজিয়ে রাখা টি ব্যাগ আলতো করে গালে কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরার মধ্যে প্রদাহনাশক বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি যেকোনওরকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই শেভিং করার পর মুখে, বগলে, হাতে অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালা ও চুলকানির সমস্যা থেকে নিমেষে রেহাই পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার একটি পাতা কেটে তা থেকে জেল বার করে সরাসরি কিছুক্ষণ ত্বকে ঘষুন । জেলটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন জ্বলুনি একেবারে কমে গিয়েছে।
আপেল সাইডার ভিনিগার: আপেল সাইডার ভিনেগারের মধ্যে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। এছাড়াও এটির প্রদাহনাশক বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের জ্বলুনি এবং লালচে ভাব কমাতে পারে। এটি লাগাতে হলে আগে ভিনিগারে জল মিশিয়ে পাতলা করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে আলতো করে লাগান। ১০ মিনিট রাখার পর তা ধুয়ে ফেলুন।
মধু: মধুও একইভাবে ত্বকের প্রদাহ কমায়। অর্ধেক চা চামচ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিন একটি পাত্রে। এবারে মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে লাগান। দই ব্যবহার করতে না চাইলে, শুধু মধুও ব্যবহার করা যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup