Supreme court modify Living will: স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ হলেও আইন প্রণয়নে জটিলতা, সংশোধনের আবেদনে সাড়া শীর্ষ কোর্টের

প্যাসিভ ইউথ্যানাসিয়া বা স্বেচ্ছা মৃত্যুকে বৈধ ঘোষণা করে ২০১৮ সালে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর চার বছর পরে মঙ্গলবার শীর্ষ কোর্ট জানাল, উইল হবে কিনা তা সশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে কারণ তারাই এই ব্যাপারে তারাই বেশি দক্ষ। প্রসঙ্গত ‘লিভিং উইল’ হল মৃত্যুর আগের মুহুর্তের চিকিৎসা নিয়ে রোগীর দেওয়া একটি নির্দেশিকা।

শীর্ষ আদালতের রায় থাকলেও ‘লিভিং উইল’ তৈরি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা নির্দেশিকার জটিলতার কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানায়, এটি প্রয়োগের ব্যাপারে সশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক বেশি ‘দক্ষ এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ’ । তাই কোর্ট আপাতত ‘লিভিং উইল’-এর কিছু নির্দেশিকা সংশোধন করার কাজেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখবে।

মাননীয় বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বে একটি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, নির্দেশিকাগুলিতে সামান্য পরিবর্তন করা যেতে পারে। তবে বেশি পরিবর্তন করলে এটি ২০১৮ সালের রায়ের পর্যালোচনা হয়ে যাবে। যা এখনই করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এও জানানো হয়, খুব নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এই উইল প্রয়োগ করা যেতে পারে যেখানে রোগীরা এতটাই অসুস্থ যে নিজে থেকে চিকিৎসা বন্ধ করার কথা বলতে অক্ষম।

বিচারপতি অজয় ​​রাস্তোগি, অনিরুদ্ধ বোস, হৃষিকেশ রায় এবং সি টি রবিকুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘আমরা এখানে শুধুমাত্র নির্দেশিকাগুলির উন্নতির কথা বিবেচনা করতে চাইছি। আদালতের সীমাবদ্ধতাও আমাদের উপলব্ধি করা উচিত। রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে যতক্ষণ না সশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছে…সশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে অনেক বেশি দক্ষ এবং জ্ঞানে সমৃদ্ধ। আমরা চিকিৎসার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। ফলে আমাদের সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’

এদিন ২০১৮ সালের লিভিং উইল বা অ্যাডভান্স মেডিকেল নির্দেশিকায় কিছু পরিবর্তনের আবেদনের পুনর্বিবেচনা করছিলেন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই সূত্রেই এমন কথা ওঠে।

দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল কেয়ারের তরফে উপস্থিত প্রবীণ আইনজীবী অরবিন্দ পি দাতার জানান যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাগুলিতে একাধিক স্টেকহোল্ডারদের (রোগী, চিকিৎসক ও অন্যান্য পক্ষ) জড়িত থাকায় কাজ করার প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তখনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup