Extramarital app information: দেশের লাখ লাখ বিবাহিত পরকীয়ায় জড়িত, তাগিদ রোজ বাড়ছে, জানাল ‘প্রেম’-এর অ্যাপ

পরকীয়ার তথ্য এবার প্রকাশ্যে আনল পরকীয়ার অ্যাপই। ভারতের মোট ২ মিলিয়ন ব্যক্তি তাদের অ্যাপে নাম লিখিয়েছেন। এমনটাই জানাল পরকীয়র অ্যাপ গ্লিডেন। ফ্রান্সে তৈরি এই বিশেষ সংস্থাটি জানায় তাদের অ্যাপে মোট ১০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে। তবে এর পাঁচ ভাগের একভাগই ভারতীয় ব্যবহারকারী। বিশ্ব জুড়ে পরিষেবা দেয় এই বিশেষ অ্যাপ। তার মধ্যে একটি দেশের থেকেই রয়েছে বিপুল ব্যবহারকারী। সংস্থার তরফে জানানো হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় ও দেখাসাক্ষাৎ করার ঘটনা অধেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কোভিডের পর থেকে ‘ডিজিটাল ডেটিং’-এর চল বেড়েছে তরতরিয়ে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এরই প্রভাব পড়েছে অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যায়। শুধু শহরাঞ্চলে নয়, শহরের বাইরে বিভিন্ন গ্ৰামাঞ্চলেও বেড়েছে এমন ডেটিংয়ের প্রবণতা। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পরকীয়া করার অ্যাপের জনপ্রিয়তা। তেমনই ফ্রান্সের একটি পরকীয়া অ্যাপ হল গ্লিডেন। শুধু গ্লিডেন নয়, অ্যাপ সংস্থাগুলির তরফে প্রকালিত সাম্প্রতিক তথ্য ঘাঁটলে দেখা যাবে, টিন্ডার ও বাম্বলের মতো ডেটিং সাইটগুলিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন। কোভিডের ঘরবন্দি দশায় এই জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। মূলত মনের মতো সঙ্গী খোঁজার জন্যই অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করান বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা।

গ্লিডেনের তরফে আরও কিছু তথ্য ভাগ করে নেওয়া হয় তাদের রিপোর্টে। জানানো হয়, তাদের নতুন ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই (প্রায় ৬৬ শতাংশ) ভারতের প্রথম শ্রেণির শহরগুলির বাসিন্দা। বাকি ৩৪ শতাংশ ব্যবহারকারী দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতে বাস করেন‌। গ্লিডেনের তরফে ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টগুলির আর্থসামাজিক তথ্যও বিশ্লেষণ করা হয়। জানানো হয়, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ভারতীয়ই তুলনামূলকভাবে অগ্ৰসর আর্থসামাজিক বর্গের মানুষ। বেশিরভাগ পুরুষ ও নারীদের পেশার দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, তাদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, কনসালটেন্ট, ম্যানেজার, উঁচুতলার কর্মচারী ও চিকিৎসক। এঁদের পাশাপাশি একটি বিরাট সংখ্যায় গৃহবধুরাও নাম লিখিয়েছেন পরকীয়ার অ্যাপে।

প্রসঙ্গত গ্লিডেন অ্যাপটি বিশেষভাবে বিবাহিত নরী পুরুষদের জন্যই তৈরি করা। দিন দিন এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার পিছনে কাজ করছে সাবেকি সামাজিক আদবকায়দা থেকে সরে আসার প্রবণতা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup