Derek O’Brien: মোদীর উপর BBC-র তথ্যচিত্র নিয়ে ডেরেকের পোস্ট মুছল টুইটার, সাংসদ বললেন ‘সেনসরশিপ’

বিবিসি-র একটি তথ্যচিত্রে সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব‘বেআব্রু’ করে দিয়েছে। এমনই মন্তব্য করে একটি টুইট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেই টুইটটি মুছে দেওয়া হয়েছে বলেন অভিযোগ করেছে তিনি। অন্য একটি টুইটে সেই অভিযোগের কথা লিখেছেন সাংসদ।

বিবিসি গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে। সেই তথ্যচিত্রটি নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লি। তা নিয়েই তিনি একটি টুইট করেন ডেরেক। সঙ্গে তথ্যচিত্রটি একটি লিঙ্কও দিয়েছিলেন। সাংসদ লেখেন, এক ঘণ্টার এই তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সংখ্যালঘুদের নিয়ে মনোভাব ‘বেআব্রু’ হয়ে গিয়েছে। পোস্ট করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর টুইটটি ডিলিট করা হয়। কারণ হিসাবে তাঁকে একটি মেল পাঠানো হয় টুইটারের তরফে। মেলটির স্ক্রিনশটও তিনি পরবর্তী একটি টুইটে শেয়ার করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের অনুরোধেই তাঁর টুইটটি মুছে ফেলা হয়েছে। ডেরেক একে‘সেন্সরশিপ’ বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী উপর এই তথ্যচিত্রকে নিয়ে ইতিমধ্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে‘প্রচারমূলক’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এই তথ্যচিত্রটির প্রতিটি সিরিজে ঔপনিবেশিক মানসিকতা‘স্পষ্টভাবে বিদ্যমান’ বলে মন্তব্য করছে ভারত সরকার।

বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিও এই তথ্যচিত্রটির পিছনে নির্দিষ্ট‘অ্যাজেন্ডা’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,‘এই ধরনের প্রচেষ্টাকে আমরা কোনও মর্যাদা দিতে চাই না’।

দুই পর্বের এই তথ্যচিত্র‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার তদন্তানুসন্ধান। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও এই তথ্যচিত্রটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এই সমালোচনা জবাবে বিবিসি আগেই জানিয়েছিল, প্রকৃত সাংবাদিকতার ব্যাকরণ মেনে তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছে। এর পিছনে দীর্ঘ গবেষণা রয়েছে। তথ্যচিত্রে তুলে ধরা কতগুলি প্রশ্নের জবাব ভারত সরকারে কাছে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারের তরফে কোনও জবাব আসেনি। ৩০ জন ভারতীয় ক্যামেরার সামনে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। এছাড়া এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণের সঙ্গে কোনও ভারতীয় সাংবাদিক যুক্ত ছিলেন না।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেনHT Appথেকেও। এবারHT Appবাংলায়।HT Appডাউনলোড করার লিঙ্কhttps://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup