Pakistan Power Crisis: ১৪ ঘণ্টা পরও বিদ্যুৎ নেই পাকিস্তানে অনেকাংশে, তাতেই সাফল্যের ঢাক পেটালেন মন্ত্রী

কেটে গিয়েছে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। তারপরও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে পাকিস্তানের একাংশ। আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা দেশে কখন বিদ্যুৎ ফিরবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পাকিস্তানিরা। যদিও পাকিস্তান সরকারের আশ্বাস, বিদ্যুৎ ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাতেই সাফল্যের ঢাক পেটাতে শুরু করেছেন মন্ত্রীরা।

রাত ন’টা ৩২ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) পাকিস্তানের শক্তিমন্ত্রী খুরাম দস্তগির-খান টুইটারে বলেন, ‘দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ফেরানোর কাজ শুরু করেছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তাঁর নেতৃত্বাধীন বহুদলীয় সরকারের তত্ত্বাধবানে সেটা সম্ভব হয়েছে।’ যে মন্ত্রী প্রাথমিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে রাত ১০ টার (পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী) মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ ফিরে আসবে।

সোমবার ভার্চুয়ালি জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানান, দেশজুড়ে বিদ্যুতের ‘ব্রেকডাউন’ হয়েছে। বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সকাল ৭ টা ৩৪ মিনিটে উত্তর-দক্ষিণ ট্রান্সমিশন করিডরে ভোল্টেজ ও ফ্রিকোয়েন্সি ওঠানামা করছিল। সেই কারণে জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি ধাক্কা খায় এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে।’

আরও পড়ুন: Pakistan Power Shortage: সকাল সকাল পাকিস্তানে এ হলটা কী! ব্ল্যাকআউট করাচি-লাহোর-ইসলামাবাদ সহ গোটা দেশে

সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের শক্তিমন্ত্রী বলেন যে ‘অর্থনৈতিক কারণে রবিবার রাতে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সিস্টেম বন্ধ করেছিলাম আমরা। ইঞ্জিনিয়াররা যখন তা ফের চালু করতে যান, তখন ভোল্টেজে ওঠানামা করছিল। তার জেরে একে-একে পাওয়ার গ্রিড কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হন ইঞ্জিনিয়াররা।’

পরে সোমবার বিকেলের দিকে পাকিস্তানের শক্তিমন্ত্রী দাবি করেন, ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শেহবাজ। তারইমধ্যে সন্ধ্যা নামে। কার্যত ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে বৃহত্তম শহর করাচি, পেশোয়ার, রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, কোয়েট্টা-সহ পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশে। লাহোরে কমলা লাইনের মেট্রো লাইনে স্টেশনগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ট্রেন। NetBlocks.org-র তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় পাকিস্তানে ইন্টারনেট ব্যবহারও পড়ে গিয়েছে।

একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে নিরাপত্তার জন্য বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন শহরে মোমবাতি, এমার্জেন্সি আলো জ্বালিয়ে দোকান খোলা থাকতে দেখা গিয়েছে। পরে রাতের দিক কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ ফিরলেও কতক্ষণ স্থায়ী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন পাকিস্তানিরা।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)