‘৩৬ ঘণ্টা তো হয়ে গেল’, আদানি গ্রুপকে খোঁচা মার্কিন সংস্থার, চ্যালেঞ্জ মামলা করার

আদানির শেয়ারে শর্ট পজিশনে খেলছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের দাবি, একেবারে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলি। ঋণের ভারে যে কোনও সময়ে টলে যেতে পারে সাম্রাজ্য। পড়তে পারে শেয়ার দর। গত সপ্তাহের শেষে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়। পড়ুন সেই খবর: Adani গ্রুপ নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট বের হতেই তুমুল পতন সংস্থার ৭টি শেয়ারে

উক্ত রিপোর্টে প্রকাশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিপুল পতন হয় আদানি গোষ্ঠীর ৭টি সংস্থার স্টকে। হিন্ডেনবার্গের প্রতিক্রিয়ায় একটি বিবৃতিও দেয় আদানি গোষ্ঠী। তাতে বলা হয়, ‘আমরা স্তম্ভিত যে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, তথ্যের ইচ্ছাকৃত বিকৃতি ঘটিয়ে একটি ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এমন কিছু দাবি করা হয়েছে, যা আগেও সর্বোচ্চ আদালতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’ 

এরপর ২৬ জানুয়ারি ফের এক পাল্টা বিবৃতি প্রকাশ করল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাতে তারা লিখেছে, ‘আমাদের রিপোর্ট প্রকাশের পর ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আদানি আমাদের উল্লেখ করা ইস্যুগুলির একটিরও বিষয়ে সঠিক কোনও ব্যাখা দেয়নি। আমাদের রিপোর্টের শেষে, আমরা মোট ৮৮টি সরাসরি প্রশ্ন তুলে ধরেছিলাম। আমাদের বিশ্বাস, তার মাধ্যমেই আমরা সংস্থাকে স্বচ্ছতা দেখানোর একটি সুযোগ দিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত আদানি তার কোনওটারই জবাব দেয়নি।’

এরপর সংস্থা আরও উল্লেখ করেছে, ‘উল্টে, আশানুরূপভাবেই আদানি হুমকি দিচ্ছে। আজ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে আদানি আমাদের ১০৬ পাতার, ৩২,০০০ শব্দের, ৭২০টি সূত্রের এবং ২ বছর ধরে তৈরি করা রিপোর্টকে বিনা গবেষণায় বলে উল্লেখ করেছে।’

উক্ত বিবৃতিতে আদানি গোষ্ঠী মার্কিন এবং ভারতীয় আইনের নির্দিষ্ট ধারার ভিত্তিতে, হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। পড়ুন: ছাড়া হবে না! মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে ৪৮,০০০ কোটি টাকা খুইয়ে হুঁশিয়ারি আদানিদের

ফাইল ছবি: টুইটার

(Twitter)

আইনি পদক্ষেপের বার্তার প্রেক্ষিতে হিন্ডেনবার্গ জানিয়েছে, ‘এই কথা জানিয়ে রাখা ভালো, আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। আমরা আমাদের রিপোর্টের বিষয়ে সম্পূর্ণ রূপে আত্মবিশ্বাসী। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তাতে লাভ হবে না।’ সংস্থার দাবি, যদি আদানি সত্যিই সচেতন হয়, তাহলে তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে আমরা কাজ করি, সেখানেই আইনি পদক্ষেপ করা উচিত্। আপনাদের বেশ কিছু নথি আমরা দেখতে চাইব, যেটা কিনা আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন আমরা তদন্তের স্বার্থে দাবি করতে পারি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup