Gorkhaland: বিনয়ের পর পাহাড়ে ‘বেসুরো’ প্রদীপ প্রধান , গুরুংদের গোর্খাল্যান্ড দাবিকে সমর্থন

পাহাড়ে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। আর সেই দাবির পাশে সামিল হচ্ছেন তৃণমূলেরই অনেকে। এর আগে বিনয় তামাং গোর্খাল্যান্ডের দাবির পক্ষে সরব হয়েছেন। কয়েকদিন আগে গুরুং-এর ডাকা একটি সভায় তিনি সামিল ছিলেন। এবার ‘বেসুরো’ একদা দাপুটে নেতা তথা পাহাড়ের তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রদীপ প্রধান। বিমল গুরুংদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেছেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।

প্রদীপ বর্তমানে তৃণমূলের পাহাড় কমিটির নেতা। সূত্রের খবর, দুদিন আগে তিনি কালিম্পঙে গুরংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে গুরুংয়ের ডাকা সভা ও বৈঠকে ছিলেন। সেখানেই প্রকাশ্যে তিনি গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন।

প্রদীপ বলেন, ‘তৃণমূলে থেকে শুধু কালীঘাট, নবান্ন, বালিগঞ্জ ঘুরেই সব শেষ। আবার পাহাড়েও একই জিনিস। তাই সকালের পথভোলা বিকেলে বাড়ি ফিরলে, সমস্যা কোথায়? আমি বরাবর মানুষের কথা বলেছি। গোর্খাল্যান্ড তৈরির জন্য সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে।’

তার মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল। রাজ্যসভার সাংসদ তথা পাহাড় কমিটির সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে যা বলার রাজ্য নেতারা বলবেন। আমার যেখানে জানানোর, তা জানিয়ে দিয়েছি।’

বয়েসে ভারে তিনি খুব একটা প্রকাশ্যে আসেন না। তৃণমূল করলেও বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে প্রদীপের যোগাযোগ ছিল বরাবরই। কারণ তিনি জিএনএলএফ-এ থাকাকালীন একদা বিংল গুরং-এরও নেতা ছিলেন। ২০১৭ সালে পাহাড়ে আন্দোলনের সময় তিনি শিলিগুড়িতে এসে বসবাস করলেও, আন্দোলন থামলে ফের তিনি কার্শিয়াংয়ে ফিরে যান।

প্রদীপ প্রধান আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ‘গুরুং পাহাড় ছেড়ে অন্যত্র থাকার সময় আমি সিকিমে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। সমঝোতার হাত বাড়াই। গুরুং নিজে এই আন্দোলন থেকে সরবে না বলেছিলেন। নেতা এমনই হয়। তা আবার এক সঙ্গে চলে এলাম।’

তাঁর অভিযোগ, ‘পাহাড়ের মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে কই। এখানকার অধিকাংশ হোটেল কলকাতার বাসিন্দাদের লিজ নেওয়া। চা বাগানও বাইরের লোকজনের। এখান মানুষ উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছেন।’

প্রশ্ন হল এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কী করবে? বিনয় তামাং দলের টিকিটে জিতে জিটিএ সদস্য। আবার প্রদীপ সহ-সভাপতি। দু’জনেই বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে গিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দলের অবিলম্বে ভাবা উচিত বলেই মনে করছেন পাহাড় তৃণমূলের একাংশ।