Oreva Chief Untraceable after Morbi Tragedy: গ্রেফতারি পরোয়ানা ওরেভা প্রধানের নামে, মৌরবি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পলাতক এখনও

গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অন্তত ৯ জনকে। সেই মামলায় ওরেভা গোষ্ঠীর প্রধান জয়সুখ প্যাটেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে জয়সুখ প্যাটেল পলাতক। এদিকে পুলিশ যে চার্জশিট তৈরি করছে, সেখানে ওরেভা গোষ্ঠীর প্রধানকেই মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এই আবহে জয়সুখের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আমদাবাদ এবং মৌরবিতে জয়সুখের বাসভবনে তল্লাশি চালায় পুলিশ। মৌরবি এবং কচ্ছে অবস্থিত ওরেভার কারখানাতেও পুলিশ হানা দিয়েছে। তবে জয়সুখের খোঁজ মেলেনি।

উল্লেখ্য, অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে মৌরবি ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। ১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। গতবছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট অবশ্য দেওয়া হয়নি পুরসভার তরফে। দুর্ঘটনার পর পুরসভার তরফে দাবি করা হয়, সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।

উল্লেখ্য, গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপরব্রিটিশ জমানার সেতুটি গতবছর ৩০ অক্টোবরের সন্ধ্যায় ভেঙে পড়ে। সেইসময় ব্রিজে কয়েকশো জন ছিলেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রচুর শিশু এবং মহিলা ছিল।এই আবহে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩০ জনেরও বেশি। অনেকেরই দেহ নদীবক্ষে কাদায় আটকে গিয়েছিল। পরে সেতু নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মৌরবি পুরসভা। ওরেভা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিতে গলদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীরা এই দুর্ঘটনায় বিজেপি-ওরেভা ‘আঁতাতে’র অভিযোগ তুলেছিল। এদিকে এই বিপর্যয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটেই ছিলেন। তাও তিনি মৌরবিতে গিয়েছিলেন ঘটনার দুই দিন পর। তাঁর মৌরবি সফরের আগে হাসপাতাল রঙ করানো হয়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল।