বেড়াতে যাওয়াটা মৌলিক অধিকার, আশা জাগিয়ে বিরাট রায় দিল্লি হাইকোর্টের

বেড়াতে যাওয়াটা একটি মূল্যবান মৌলিক অধিকার। একমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে এটা কাটছাঁট করা যেতে পারে। জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্য়াক্টে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। তিনি বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন আদালতের কাছে। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালত।

নিত্যনন্দ গৌতম নামে এক ব্যক্তিকে ট্রায়াল কোর্টে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর তাকে আইপিসির ৪০৯ ধারা, ৪২০ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ২৬ অক্টোবর ট্রায়াল কোর্ট তার সাজার কথা ঘোষণা করে। তবে তিনি জরিমানার অর্থ জমা করেন। তার সাজা স্থগিত রাখা হয়। এদিকে গৌতম এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন।

এদিকে গৌতম আদালতের কাছে চিঠি লিখে জানান, তিনি একমাসের জন্য দুবাইতে মেয়ের কাছে যেতে চান। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি দুবাইতে থাকার আবেদন করেন। মেয়ে তাকে আসতে ইমেল করেছে বলে তার দাবি। তবে সিবিআইয়ের দাবি, এনিয়ে ইমেল ছাড়া আর কোনও নথি তিনি দেখাতে পারেননি।

গৌতমের আইনজীবী জানান, ভিসা আর টিকিট করার আগে তিনি হাইকোর্টের অনুমতি চাইছেন। তাঁর আবেদনে সাড়া দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি সিং জানিয়েছেন আমার মতে, বেড়াতে যাওয়াটা একটি মূল্যবান মৌলিক অধিকার। একমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে এটা কাটছাঁট করা যেতে পারে।

এরপর হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১ লাখ টাকা করে ব্য়ক্তিগত বন্ড জমা রাখতে হবে। তার মোবাইল নম্বর তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে জমা রাখতে হবে। সবসময় সেটি চালু রাখতে হবে। দুবাইতে তিনি কোথায় থাকবেন তার ঠিকানা দিতে হবে। তবে দুবাই থেকে তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।তিনি আইন বিরোধী কোনও কাজ করতে পারবেন না। অপরাধমূলক কাজে তিনি জড়িয়ে পড়তে পারবেন না। তাহলে সমস্যা হতে পারে।

এরপরই তার বেড়াতে যাওয়ার আবেদনকে গ্রাহ্য করা হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আদালত তার বেড়াতে যাওয়ার আবেদনকে সন্তোষজনক বলে মনে করেছে। তবে দুবাইতে তিনি ঠিক কোথায় যাবেন, দুবাই থেকে তিনি যাতে অন্য কোথাও পালিয়ে না যান সেটাও আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকরা যাতে প্রয়োজনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সেকারণে মোবাইল নম্বরটি সবসময় কার্যকরী রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে।