Modi praises Gates: রুটি বেললেন বিল গেটস, প্রশংসা গেল নরেন্দ্র মোদীর তরফে! ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিলেন কোন পরামর্শ?

সফ্টওয়্যারের দুনিয়ার কিংবদন্তী কিনা বানাতে উদ্যত হলেন ‘সফট’ রুটি! ঘটনা প্রযুক্তিবিদ বিল গেটসকে নিয়ে। যিনি সদ্য এক ভিডিয়োয় রুটির আটা মেখে তা বেলারা চেষ্টায় হাত লাগিয়েছিলেন। সঠিক আকার দিয়ে, স্বাদ যুগিয়ে আর নরম রুটি বানানো যে এক ফোঁটাও সহজ ব্যাপার নয়, তা যাঁরা বানাতে পুটু তাঁরাও স্বীকার করে নেবেন! এদিকে, বিল গেটসের এই চেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিখ্যাত শেফ ইথান বেরনাথ, সদ্য ভারত ঘুরে গিয়েছেন। এরপর এদেশের বহু ঘরে রুটি দেখে তা বানাতে চেষ্টা করেন শেফান। এদেশ থেকে রুটি শিখে গিয়ে এবার শেফান সেটি বানানোর সময় সঙ্গে নিলেন প্রযুক্তিবিদ তথা শিল্পপতী বিল গেটসকে। তৈরি হল ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োয় সফ্টওয়্যারের দুনিয়ার এই নামী কিংবদন্তী বিল গেটসেকে দেখা গেল, রীতিমতো আটা মেখে রুটি বেলতে। তবে সাধারণত ভারতীয় গৃহকোণে যেমন রুটির আটা মাখা হয়ে থাকে। বিল গেটসের আটা মাখার ধরন তার থেকে আলাদা। একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে আটা ফেলে গুলতে দেখা গেল গেটসকে। পরে তা মাখা হয়। এদিকে শুুৃধু তাইই নয়। বিল গেটস রীতিমতো রুটি বেলতেও উদ্যত হন। আর এমন এক ভিডিয়ো দেখে বিল গেটসের চেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিকে নরেন্দ্র মোদীর ইনস্টা স্টোরিতে এই ভিডিয়োর দৃশ্য শেয়ার করা হয়। সেখানেই মোদী ছবির লেখেন’দারুন ব্যাপার!’ তিনি লেখেন, ভারতে বর্তমান ট্রেন্ডই হচ্ছে মিলেট (জোয়ার-বাজরা-রাগি) জাতীয় খাবার। তিনি পরামর্শের সুরে জানান,মিলেট দিয়ে আরও সুন্দর সুন্দর পদ হয়, সেগুলিও যেন বিল গেটস বানানোর চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালকে মিলট-বর্ষ বলে অভিহিত করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সদ্য তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য মিলাক্ষী লেখি জওহরলাল নেহরু ভবনে একটি মধ্যাহ্নভোজতে বিশেষভাবে ‘মিলেট লাঞ্চ’ হিসাবে পরিগণিত করে খাওয়ার আয়োজন করেন। সেখানে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিকরা ছিলেন আমন্ত্রিত। সেই অনুষ্ঠানেই মিনাক্ষী লেখি মিলেটের বেশ কিছু চমকপ্রদ পদ তুলে ধরেন।

 এই ভিডিয়োর দৃশ্য শেয়ার হয় নরেন্দ্র মোদীর ইনস্টাস্টোরিতে।

 

এদিকে, বিল গেটসের রুটি বেলা নিয়ে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, শেফ ইথান বেরনাথ বিল গেটসকে প্রশ্ন করছেন, ‘শেষ কবে রান্না করেছেন?’ জবাবে গেটস বলছেন, ‘স্যুপ গরম করা যদি রান্না হয়, তাহলে তিনি তা করেছেন।’ বেরনাথ বলছেন, তিনি বিহারে গিয়ে বেশ কয়েকজন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই শিখেছেন রুটি করা। এপ্রসঙ্গে তিনি ‘দিদি কি রসোই’ ক্যান্টিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। যেখানের এক মহিলা কর্মী তাঁকে রুটি তৈরি করা শিখিয়েছিলেন।