Pakistan Crisis: আর্থিক সংকটের মাঝে তেলের ভাঁড়ারে টান! পাকিস্তানে বিপদের কালো মেঘ আরও গাঢ়

আর্থিক সংকট কি পাকিস্তানকে শ্রীলঙ্কার দিকেই নিয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নই এখন দক্ষিণ এশিয়া ঘিরে। পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি ‘অভাবনীয়’ বলে ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এদিকে সদ্য সেদেশের জ্বালানি তেলের ভাণ্ডারেও টান দেখা দিচ্ছে বলে তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছে। এই মর্মে তাদের চিঠি গিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে।

পাকিস্তানের ‘অয়েল কম্পানিজ অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের’ তরফে একটি চিঠি যায় সেদেশের ‘অয়েল অ্যা়্ন্ড গ্যাস রেগুলেটারি অথরিটি অ্যান্ড এনার্জি মিনিস্ট্রে’র কাছে। দেশের তেল সংক্রান্ত মন্ত্রককে সেদেশের তেল সংস্থাগুলির তরফে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়, পাকিস্তানের রুপির পতন তথা বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি সেদেশের ব্যবসায় কতটা ক্ষতি করছে তার খতিয়ান। গত ২৭ জানুয়ারি এক লাফে কমেছে পাকিস্তানি মুদ্রার দর। হু হু করে কমেছে তার দর। প্রায় টালমাটাল অবস্থা সেদেশের অর্থনীতির। এদিকে, পরিস্থিতি সামলাতে আইএমএফ সাহায্যে এগিয়ে এলেও, আফএমএফ বা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের তরফে দেওয়া শর্ত পাকিস্তানকে কল্পনাতীত বিপদে ফেলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে সেদেশের। এরই মাঝে পাকিস্তানের ক্রায়োজেনিক রিফাইনারিকে বন্ধ রাখতে হয়েছে অপরিশোধিত তেলের অভাবে। পাকিস্তানে ক্রমাগত মুদ্রার দাম পড়ে যেতেই  আমদানিকৃত জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। যা সরাসরি গিয়ে ধাক্কা দিয়েছে সেদেশের ব্যবসাকে। যার জেরে সেদেশের জ্বালানি তেলের ভাঁড়ারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। (রাত হলেই বাজে কলিং বেল, দরজার ওপারে নগ্ন মহিলা! এলাকায় ঘুরছেন কে? মিলল খোঁজ)

একদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অন্যদিকে, ক্রমেই ধসে পড়া অর্থনীতি আরও বেশি করে পাকিস্তানের সংকট বাড়িয়েছে। তারই মাঝে সদেশের প্রায় সবচেয়ে বড় জ্বালানি সংকটের মধ্যে পড়তে শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য তেল কম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে সেদেশের আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। এখনও অবধি ডলারের তুলনায় পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্য ২৭৮.৫৮ হয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে জ্বালানির জন্য খরচ সেদেশের আমদানির একটা বড় অংশে ব্যয় হয়। বিদেশ থেকে আনা প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে সেদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটায় পাকিস্তান। যে প্রাতৃতিক গ্যাসের দাম ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে গিয়েছে বেড়ে। এদিকে, ক্রমেই সেদেশে আর্থিক সংকটের জেরে হু হু করে বেড়েছে সমস্ত জিনিসের দাম। বিশ্বব্যাঙ্ক আগেই জানিয়েছে, পাকিস্তানের আর্থিক বৃদ্ধি আসন্ন আর্থিক বছরে ৪ থেকে ২ শতাংশে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সেদেশের তৈল সংকট বিপদের কালো মেঘকে গাঢ় করছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup