অভিষেক ফিরতেই ছুটির দিনেও পাট্টার ক্যাম্প বসল গ্রামে, এক ফোনেই বাজিমাত

তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে রয়েছেন। তবে শনিবার তাঁর গাড়ি থেমেছিল পশ্চিমমেদিনীপুর জেলার মাতকাতপুর গ্রামে। প্রত্য়ন্ত গ্রাম। সেখানেই জনসংযোগ। সেখানে গিয়ে অভিষেকের কানে এসেছিল পাট্টা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে গ্রামে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা পাট্টা পাননি। একথা শুনে আর দেরি করেননি তিনি। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। সেই ফোন লাউড স্পিকারে দেওয়া হয়। মন্ত্রীর কথাও শোনা যায় সেখানে। সেখানেই অভিষেক সেচমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সমস্যা মেটানোর জন্য। এরপর তিনি সভাতে যান। সেখানে সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেন অভিষেক।

আর যেমন কথা তেমন কাজ। সবাইকে অবাক করে রবিবার ছুটির দিনেই গ্রামে ক্যাম্প বসে গিয়েছিল। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত ক্যাম্প করা হয়। সেখানে পাট্টা সংক্রান্ত আবেদনগুলি নেওয়া হয়। জেলাশাসক আয়েষা রাণিও গ্রামে চলে যান। বিডিও, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরাও গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সব মিলিয়ে ৯২টি পরিবার রয়েছে। তবে তার থেকে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়ও গ্রামে যান। তিনিও এনিয়ে খোঁজখবর নেন। প্রশাসনের দাবি, এলাকায় জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে সবদিকটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে গ্রামবাসীদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় বসবাস করছেন। সেচ দফতরের জমিতেই তার থাকছেন। কিন্তু তারা পাট্টা পান না। বার বার আবেদন নিবেদন করেও পাট্টা জোটেনি। এনিয়ে তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাতের কাছে পেয়েই তাঁর কাছে আর্জি জানান গ্রামবাসীরা। আর সবাইকে আবাক করে দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছুটির দিনে গ্রামে হাজির প্রশাসনের আধিকারিকরা।

এসব দেখে শুনে কিছুটা অবাকই হয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা। বছরের পর বছর ধরে যে কাজ নিয়ে এত টালবাহানা সেই কাজ হল কী করে? অনেকেই এবার নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। অনেকেরই আশা এবার হয়তো তাদের পাট্টার একটা ব্যবস্থা হবে।

তার সঙ্গেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতদিন বলেও গ্রামবাসীরা পাট্টা জোগাড় করতে পারেননি। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা গ্রামে যেতেই তৎপর হল প্রশাসন। তবে কি কোথাও সমণ্বয়ের অভাব হচ্ছে? এই কাজ কেন এতদিন ফেলে রাখা হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠেছে।