Governor On CM: ‘‌বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যোগ্য নেতা পেয়েছে’‌, ভূয়সী প্রশংসায় রাজ্যপাল

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ সাম্মানিক ডি’‌লিট দিল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। আর মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একইসঙ্গে আজ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, এপিজে আব্দুল কালাম, অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করলেন রাজ্যপাল। এখানেই থেমে না থেকে উইনস্টন চার্চিল, মিল্টনের সঙ্গে এক আসনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বসালেন রাজ্যপাল। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল?‌ আগেই তিনি হাতেখড়ি নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন। অর্থাৎ বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের পছন্দ হয়নি। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে আরও তাঁদের বিরাগভাজন হলেন আনন্দ বোস বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আজ রাজ্যপাল বলেন, ‘‌যেসব রাজনীতিবিদ সাহিত্যেও অনন্য নজির রেখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অন্যতম।’‌ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তুলে আনেন মনুস্মৃতির শ্লোক। তিনি বলেন, ‘‌যত্র নারীয়াস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবত। একজন নারী যখন সম্মানিত হন দেবতাও আনন্দিত হন। মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন না। তিনি পাচ্ছেন তাঁর সাহিত্য, কবিতা, ছবির জন্য। বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যোগ্য নেতা পেয়েছে।’‌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কৃতিত্বের জন্য কুর্নিশ জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?‌ এদিন ডি লিট সম্মানে ভূষিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো আবেগতাড়িত। তাই তিনি বলেন, ‘‌আমাকে এমন সন্মান দেওয়ার জন্য আমি গর্বিত। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি এই সন্মান সাধারণ মানুষের জন্য ভাগ করে নিতে চাই। আমি জনপ্রিয় হয়েছি এই সাধারণ মানুষের জন্য। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্তদের মধ্যে এই সন্মান ভাগ করে নিতে চাই। এটা আপনাদের চতুর্থ সমাবর্তন। কিন্তু আপনারা আপনাদের টার্গেট পূরণ করেছেন। আমি বলেছিলাম সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি করতে। এই সম্মান আমি সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করছি।’‌

কী বলছেন বিরোধী নেতারা?‌ এখানে মুখ্যমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা ভালভাবে নেননি বিরোধী নেতারা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‌রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করবেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের প্রশংসা করবেন এটা হওয়াই তো ভাল। ইদানিং তো মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন রাজ্যপালেরও প্রশংসা করেন। যে কোনও কারণেই হোক রাজ্যপাল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব বদলেছে। হয়ত দিল্লির চাপে।’‌ আর বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌একটা সৌজন্য হিসাবে মঞ্চে কেউ কারও সম্পর্কে বলতে পারেন। সেটা নিয়ে রাজনীতি হয় না। উনি হাতেখড়ি নিয়েছেন, শিখছেন। আরও শিখবেন। দেখা যাক কী হয়। রাজ্যপাল কী বললেন সেটা মানুষ কতটা গ্রহণ করবে সেটা মানুষের উপর নির্ভর করবে। মানুষ ১১ বছরে যে শিক্ষা নিয়েছেন, তা রাজ্যপাল যদি শুনতে না পান বা শুনেও যদি না শোনেন আমাদের কিছু করার নেই।’‌