Habra Shootout: মামার বাড়িতে এসে গুলিবিদ্ধ দুই ভাই, হাবড়া শুটআউটে তদন্ত শুরু করল পুলিশ

রবিবার রাতে শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে হাবড়ায়। মামার বাড়ির সামনে দুই ভাইকে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁদের দু’‌জনকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনের হাতে এবং আর একজনের পায়ে গুলি লাগে বলে খবর। দু’‌জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে সোমবার হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। এই শুটআউটের ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার অন্তর্গত জিওলডাঙ্গা গাঙ্গুলি পাড়া এলাকায়। অন্য কাউকে গুলি করতে এসে দুষ্কৃতীরা ভুল করে তাঁদের গুলি করল নাকি পুরনো শত্রুতার জেরে গুলি সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। হাবড়ার জিওলডাঙ্গায়। গুলিবিদ্ধ দুই ভাইয়ের নাম শ্রীমান দাস ওরফে মণি দাস এবং শুকদেব দাস। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২৮ ও ২৫ বছর। বাড়ি বর্ধমানের অভিরামপুর ভালকি কলোনি এলাকায়। রাঙাবালি পাড়ায় তাঁদের মামা বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা সেখানে এসেছিলেন। এদিন সন্ধ্যার পর মামা বাড়ির দুয়ারে বসে দু’‌জনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হঠাৎ দ্রুতগতিতে একটি মোটরবাইক আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরবাইকে থাকা দুই দুষ্কৃতী তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি করে পালিয়ে যায়।

ঠিক কী ঘটেছে হাবড়ায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবড়া থানার জিওলডাঙ্গা এলাকায় ঘুরতে এসে রবিবার রাতে গুলি লেগে আহত হন দু’‌জন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয় দু’‌জনকেই। এখানে পলাশ দাস তাঁদের মামা। সেই মামা বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তাঁরা। হঠাৎই গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। দেখেন দু’‌জনের দুটি গুলি লেগেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে গুলি কারা করল। যদিও এলাকায় কাউকেই পাওয়া যায়নি। তদন্ত করছে হাবড়া থানার পুলিশ।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গুলির শব্দে এবং তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ দুই ভাইয়ের বয়ান রেকর্ড করে। দুই ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, মোটরবাইকে যে দু’‌জন দুষ্কৃতী ছিল তাদের কাউকেই তাঁরা চেনেন না। তাঁদের কোনও শত্রুও নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, কেন এই শুটআউট?‌ সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। দুষ্কৃতীরা ভুল টার্গেট করেছে নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।