১৫ দিন জেল খেটে বেরিয়েই স্কুলে ঢুকে ক্লাস নিলেন প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার শিক্ষক

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে ১৫ দিন হেফাজতে থাকার পর জামিন পেয়েই স্কুলে ফিরলেন ‘শিক্ষক’। এমনকী ক্লাসও নিলেন তিনি। সরকারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জলপাইগুড়ির আমবাড়ি হাইস্কুলের ওই শিক্ষক কী ভাবে ক্লাস নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাপ্পা মালাকার নামে এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে কোচবিহারের বক্সিরহাটের বাসিন্দা পঙ্কজ বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাপ্পা মালাকারের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন পঙ্কজবাবু। কিন্তু চাকরি পাননি তিনি। ফেরত পাননি টাকাও। এই অভিযোগে গত ২০ জানুয়ারি পঙ্কজবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর পুলিশ ও জেল হেফাজত মিলিয়ে ১৫ দিন বন্দি ছিলেন তিনি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পান। পরদিনই সটান তিনি হাজির হন স্কুলে। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসও করান তিনি। ১৫ দিন হেফাজতে থেকেও কী করে একজন সরাসরি এসে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিধি অনুসারে কোনও সরকারি চাকুরে ৪৮ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে থাকলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। জামিন পাওয়ার পর উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে হয় তাঁকে। আমবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি সবই জানি। কিন্তু শিক্ষক যে গ্রেফতার হয়েছেন তা সরকারি ভাবে আমাকে জানানো হয়নি। আমি জেনেছি সংবাদমাধ্যমের থেকে। ফলে আমি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।

এই ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, টাকা যারা নিয়েছে তারা ওতপ্রতো ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের নির্দেশেই প্রশাসন অভিযুক্তের চাকরি বাঁচাতে পরিকল্পনামাফিক স্কুলকে সরকারিভাবে খবর জানায়নি। রাজ্যে সমস্ত ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির বন্যা বইছে এটা তারই অংশ মাত্র।