সোমবার ভোরে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্ক এবং সিরিয়ার উত্তর ভাগে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির অন্যান্য শহরে এবং পার্শ্ববর্তী সিরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশ লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় আতঙ্ক বাড়িয়ে ‘আফটারশক’ হানা দিয়েছে এই অঞ্চলে। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্ক এবং প্রতিবেশী উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৮০০-এরও বেশি। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস
মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কায় WHO
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে অনেকটাই। এখনও পর্যন্ত এই দুর্যোগ সম্পর্কিত প্রাপ্ত তথ্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কোন কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত?
তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো কাহরামানমারাস, গাজিয়ানতেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, আদানা, আদিয়ামান, মালত্য, ওসমানিয়ে, হাতায় ও কিলিস। ভূমিকম্পে সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, তারতুস প্রদেশে অসংখ্য বিল্ডিং ধসে পড়েছে।
সরকারি হিসেবে তুরস্কেই আহজ প্রায় ১৫ হাজার
তুরস্কের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে সেদেশে আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময় ও তার পরে ৪ হাজার ৭৪৮টি বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে।
প্রতিকূল আবাওয়ায় ব্যাহত উদ্ধারকাজ
এদিকে তুষারঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনেক শহরই বরফে ঢেকে গিয়েছে। এই আবহে উদ্ধারকাজে বাদ সেধেছে প্রতিকূল আবহাওয়া।
ফিরছে ১৯৩৯-এর বিভীষিকা
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।
এনডিআরএফ দলও গিয়েছে তুরস্কে
প্রথম দফায় ভূমিকম্পের ত্রাণ সামগ্রী, এনডিআরএফ দল, বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড, ওষুধ, ড্রিলিং মেশিন এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তুরস্কে গেল ভারতীয় দল। গাজিয়াবাদের অষ্টম ব্যাটেলিয়ন এবং কলকাতার দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের দু’টি দল থেকে প্রায় ১০০ জন এনডিআরএফ কর্মী তুরস্কে গিয়েছেন।
ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত
ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান রওনা দিয়েছে তুরস্কের উদ্দেশে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ইউক্রেনও এই দুই দেশের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
মৃত্যু বেড়ে ৩,৮০০
সোমবার তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং পরপর আফটারশকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়া। মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।