লক্ষ্য মুসলিম ভোট বিভাজন? নওসাদ সিদ্দিকির প্রশস্তি গাইলেন শুভেন্দু

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোটকে কাছে টানতে হবে। বিজেপির জাতীয় কার্যকারিনী বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার পর থেকে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মুসলিমদের সম্পর্কে বদলে গিয়েছে বোল-চাল। বুধবার তো বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে ISF নেতা নওসাদ সিদ্দিকিকে বিশেষণে ভাসালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের NRC-র টুপি পরিয়ে ভোট নিয়েছিলেন তাদেরই পিরসাহেবের বাড়ির সুসন্তান বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির টুপি ধরে টানছে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ’।

মমতার তোষণ রাজনীতির উল্লেখ করতে গিয়ে ফের নওসাদ সিদ্দিকির নাম উল্লেখ করেন তিনি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের মুখ দিয়ে সেকুলারিজমের কথা বলিয়েছেন। সেকুলারিজম মানে কী? সেকুলারিজম মানে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আবু বক্কর সিদ্দিকির বাড়ির ছেলে পির সাহেব নওসাদ সিদ্দিকির টুপি ধরে টানা’?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটের পশ্চিমবঙ্গে যে শুধুমাত্র মেরুকরণ করে তরী তিরে ভেড়ানো যাবে না তা বুঝতে পেরেছেন বিজেপি নেতারা। তাই মুসলিম ভোট নিজেদের দিকে টেনে মমতাকে ধাক্কা দেওয়ার রণকৌশল নিয়েছেন তারা। লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন হলেও এই ফরমুলা পঞ্চায়েত ভোটে পরীক্ষা করে দেখতে চায় বিজেপি। যার জেরে বারবার নওসাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ফুরফুরা শরিফের প্রভাব ব্যাপক। আর যে ভাবে নওসাদকে সরকার দিনের পর দিন জেলবন্দি করে রেখেছে তাতে ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম সমাজের একাংশ। সেই অংশকেই মমতার বিরুদ্ধে ভোটদানে প্ররোচনা দিতে বিজেপির যাবতীয় আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।