Mamata Banerjee: বিধানসভায় অনিত থাপা–মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, চলতি মাসেই দার্জিলিং সফরে মমতা

বিজেপি যখন বাংলার ভাগের কথা বলছে তখন তাঁদের ৪৮ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা এবং বৈঠক করলেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপা। জিটিএ নির্বাচন, দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এখন সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ঠিক তার প্রাক্কালে অনিত থাপার বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আবার চলতি মাসের শেষে দার্জিলিং সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। তবে আজ কি নিয়ে বৈঠক হয়েছে তা কেউ খোলসা করেননি।

কবে দার্জিলিং সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ সূত্রের খবর, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম যাবেন তিনি। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি হেলিকপ্টারে পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ায় রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল ৯ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার পাঁচলায় সভা করবেন তিনি। তার এক সপ্তাহের মাথায় তিনি যাবেন জঙ্গলমহল সফরে। আর তারপর ২০ ফেব্রুয়ারির পর দার্জিলিং সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। দিনক্ষণ, নির্ঘণ্ট এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ঠিক কী বলছেন অনিত থাপা?‌ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধানসভার মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‌আমি চাই পাহাড়ের উন্নয়ন। কতদিন আর পাহাড় দূরে থাকবে উন্নয়নের থেকে। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুটা রাজ্যের বিষয় নয়, কেন্দ্রের বিষয়। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের উন্নয়ন আর কত পিছনে যাবে। আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি পাহাড়ের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’‌ অনিত থাপা পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকের কথা বললেও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী কী বলেছেন?‌ এদিন শিলিগুড়ি একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয় বাংলা ভাগের প্রতিবাদে। বিজেপিকে ‘‌দ্বিচারিতায় বিশ্বাসী’‌ দল বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‌ত্রিপুরা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী উভয়েই বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড তৈরির বিষয়ে তিপ্রা মোথার দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা বিজেপির ভণ্ডামিকে তুলে ধরতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা এবং ত্রিপুরার জন্য অন্য চিন্তাধারা কেন? বাংলা বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির জাতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বারলাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।’‌