Viral Fever: ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি! সবাই বলছেন ‘ভাইরাল’, আসলে কী? কী বলছেন চিকিৎসকরা

প্রত্যেক বাড়িতেই কারও না কারও জ্বর লেগেই রয়েছে। কোনও কোনও পরিবারের সব সদস্যই কাহিল। কিন্তু কী হয়েছে তাঁদের? সকলেরই একটিই উত্তর— ‘ভাইরাল’। কিন্তু কী এই ভাইরাল জ্বর? সাধারণ জ্বর? মরশুম বদলের অসুস্থতা? নাকি অন্য কিছু? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

ঘরে ঘরে কারও না কারও সর্দি-জ্বর লেগেই রয়েছে। এই সময়ে ফ্লু ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এরই বা কারণ কী? করোনার পরে এই সমস্যা বেড়েছে? এসব প্রশ্নই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে করা হয়েছিল চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে। কী বলছেন তিনি?

চিকিৎসক গোস্বামীর বক্তব্য, মরশুম বদলের সময়ে এমনিতেই এই জাতীয় জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এটি সাধারণত হয় ফ্লু ভাইরাসের কারণে। ‘ফ্লু ভাইরাস কেমন চেহারা নেবে, তা আগে থেকে পুরোটা বোঝা যায় না। প্রতি বছরই এর গড়ন বদলাতে থাকে। তাই এ থেকে হওয়া সংক্রমণ সামলাতেও সমস্যা হয়।’ বলছেন তিনি। আর শীতের শেষে এমন জ্বর হওয়া স্বাভাবিক। 

এই ধরনের সংক্রমণের পিছনে আবহাওয়ার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘যেহেতু দিনে গরম, আর রাতে ঠান্ডা— তাই তাপমাত্রার পার্থক্যের ফলে এই জাতীয় সমস্যা বাড়ছে। আবার অনেকে গরমের কারণে অফিসে বা বাড়িতে এসি চালিয়ে দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে।’

তবে এখানেই শেষ নয়। এই ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস (Adenoviruses)। সেটি এবারে ঘরে ঘরে জ্বরের অ্যতম কারণ বলে মত তাঁর। কতটা ভয়ের এই ভাইরাসের সংক্রমণ? চিকিৎসক গোস্বামী বলছেন, ‘বিষয়টি মোটেই খুব গুরুতর নয়। সাধারণত ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে উঠতে যত দিন লাগে, তার চেয়ে সামান্য বেশি সময় লাগতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। কারও ক্ষেত্রে ২ সপ্তাহও লেগে যাচ্ছে সুস্থ হতে।’

এই ভাইরাসের দাপতে কাউকে কাউকে স্টেরয়েড চিকিৎসার সাহায্যও নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এর সঙ্গে কি কোভিডের কোনও সম্পর্ক আছে? চিকিৎসক গোস্বামী বলছেন, কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে এর প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই। ‘কিন্তু যাঁদের ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণ হয়েছে, তাঁদের কারও কারও ক্ষেত্রে কষ্ট বেশি হচ্ছে। তাই তাঁদের সাবধানে থাকা উচিত। এবং স্বল্প প্রয়োজনেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’

এই জ্বরজারির প্রকোপ কত দিন থাকবে? চিকিৎসক বলছেন, শীত কেটে পুরোপুরি গরম পড়ে গেলেই আর এই ভাইরাসের প্রভাব থাকবে না। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।