নাগপুর: ভারত-অস্ট্রেলিয়া (Ind vs Aus) প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের নায়ক তিনি। ৫ উইকেট নিয়ে কার্যত একা হাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। তবু প্রথম দিনের শেষে আচমকাই বিতর্কের মেঘ। অস্ট্রেলীয় মিডিয়া প্রশ্ন তুলছে, বল করার সময় কি অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছেন জাডেজা?
ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিওকে ঘিরে। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বল করার আগে মহম্মদ সিরাজের কাছে যাচ্ছেন জাডেজা। তারপর সিরাজের হাত থেকে কিছু একটা নিয়ে আঙুলে ঘষছেন। তারপর বল করছেন। এক অস্ট্রেলীয় ভিডিওটি ট্যুইট করে টিম পেনকে ট্যাগ করেন। পেন উত্তরে লেখেন, ‘ইন্টারেস্টিং’।
যদিও ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন, আঙুলে কিছু লাগিয়ে যদি বল ঘোরানো যায় বা উইকেট নেওয়া যায়, তাহলে তো অস্ট্রেলিয়াও সেই কৌশল অবলম্বন করে ফেলত। পুরোটাই ভিত্তিহীন বলে পাল্টা মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা।
Ball Tempering #Jadeja @CricketAus @AvinashArya09 @PeshawarZalmi @babarazam258 @vikrantgupta73 pic.twitter.com/wokrmNasCi
— 𝙲𝚁𝙸𝙲 𝚉𝙴𝙴 (@salveofallah07) February 9, 2023
কঠোর সাধনা
ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১৭৭ রানেই অল আউট হয়ে গেলেন প্যাট কামিন্সরা। যে ব্যাটিং বিপর্যয়ের নেপথ্যে ভারতের বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। পাঁচ মাস পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে যিনি বল হাতে বিধ্বংসী মেজাজে। একাই নিলেন পাঁচ উইকেট।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে জাডেজা বলছিলেন, ‘যেভাবে বল করছিলাম, তাতে আমি খুব খুশি। বোলিং উপভোগ করছিলাম। পাঁচ মাস পরে জাতীয় দলে খেলছি। তাও টেস্ট ক্রিকেটে। কঠিন ছিল। তবে আমি তৈরি ছিলাম। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ফিটনেস নিয়ে খুব পরিশ্রম করেছি। অনেকদিন পর একটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ (রঞ্জি ট্রফির) খেলেছিলাম। আর সেই ম্যাচে ৪২ ওভার বল করেছিলাম। টেস্ট ম্যাচ খেলার আগে আমাকে ভীষণ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল সেটা।’
জাডেজা যোগ করেছেন, ‘উইকেটে বাউন্স ছিল না। আমি অফ স্টাম্প লাইনে বল করে গিয়েছি। কয়েকটা বল ঘুরছিল। কয়েকটা বল সোজা যাচ্ছিল। বাঁহাতি স্পিনার হিসাবে ব্যাটসম্যানদের কট বিহাইন্ড বা স্টাম্পড করাতে পারলে খুব ভাল লাগে। টেস্ট ক্রিকেটে সব উইকেটই আনন্দ দেয়।’
আরও পড়ুন: সচিন-নীরজের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হৃষিতা, হাওড়ার কন্যার লক্ষ্য মহিলাদের আইপিএল