Jhalda Municipality: শীলা চট্টোপাধ্যায়ই ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান, ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল রাজ্য

আবার আজ ঝালদা পুরসভার মামলায় আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে আবার বহাল করতে হবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই। আজ, বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ এমন রায় দেওয়ায় রাজ্য সরকারের সমস্ত চেষ্টা বিফলে গেল।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। আর সুদীপ কর্মকারকে নতুন চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছিলেন। পরবর্তী নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যায়। যার শুনানি আজ ছিল।

এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে রাজ্যের মনোনীত চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারের অপসারণে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আর পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজে মহকুমাশাসকের নির্দেশিকার উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হল। একইসঙ্গে মূল মামলা একক বেঞ্চে ফেরতও পাঠায় ডিভিশন বেঞ্চ।

ঠিক কী ঘটেছিল ঝালদায়?‌ ঝালদা পুরসভা ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। গত পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে আসন পেয়েছিল। বাকি দুটি আসন জেতেন নির্দলের শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং সোমনাথ কর্মকার। এই দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে প্রথমে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। পরে সোমনাথ–শীলা সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। তখন বোর্ডে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেসে। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলেই থাকেন। তিনি যখন ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে ওঠেন তখন তাঁকে ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন করার কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। আর বোর্ড গঠনে সমর্থন করেন শীলাও। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল একটি পিটিশন দাখিল করেন মহকুমাশাসককে। যেখানে বলা হয়, শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতে তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন। মহকুমাশাসক শুনানি করে শীলার কাউন্সিলর পদ বাতিল করেন। তখন নতুন করে মামলা হয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup