আমার একান্ত ভিডিও শুট করে বিক্রি করেছে আদিল: রাখি | BD24Live.com

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

স্বামী আদিল ডুরানির নামে একাধিখ অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। এ মামলায় আদিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন রাখি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে রাখি সাওয়ান্ত বলেন— ‘আমার একান্ত ভিডিও শুট করেছে আদিল। আর সেসব ভিডিও বিক্রি করেছে। এ নিয়ে আমি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছি।’

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতে তোলা হয় আদিলকে। এদিন আদালতে গিয়েছিলেন রাখি। সেখানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে রাখি বলেন, ‘আদিল আমাকে ঠকিয়েছে। ওর কখনো জামিন পাওয়া উচিত নয়। এজন্য আমি নিজে এখানে এসেছি। আমার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। সেসব প্রমাণ জমা দিয়েছি। আদিল আমাকে অকথ্য অত্যাচার করেছে, আমার থেকে ওটিপি নিয়ে সব টাকা নিয়ে নিয়েছে।’

পুলিশের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় আদিল ও রাখির। এরপর একসঙ্গে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলেন দুজনে। নতুন গাড়ি কেনার জন্য ২০২২ সালের জুন মাসে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি তুলে নেন আদিল।

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ জানুয়ারি মারা গেছেন রাখির মা জয়া সাওয়ান্ত। আদিলের কারণে তার মা মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাখি। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যাওয়ার আগে রাদিল প্রোডাকশনে ১০ লাখ রুপির একটা চেক দিয়ে গিয়েছিলাম। আর বলে গিয়েছিলাম, মায়ের টাকা প্রয়োজন হলে সেখান থেকে যেন খরচ করা হয়। এই টাকা আমার, আদিলের না। এরপর আমার মায়ের অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আদিল প্রয়োজন মতো টাকা হাসপাতালে দেয়নি। খুবই অল্প টাকা আমার বৌদির হাতে দিয়েছিল ও। আদিল টাকা না দেওয়ার কারণে সময়মতো অস্ত্রোপচার করানো যায়নি। আদিলের জন্যই মা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’

এর আগে রাখি অভিযোগ করেন, আদিল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে। বহুবার নিষেধ করার পরও এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেনি সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া রাখির বিয়ের সার্টিফিকেটে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর তিন মাসের মাথায় বিয়ে করেন রাখি-আদিল। গত বছরের জুলাই মাসে দুবাইয়ে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এজন্য নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন রাখি সাওয়ান্ত ফাতিমা। ধারণা করা হচ্ছে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আদিলকে বিয়ে করেছেন রাখি। শুরুতে এ বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন আদিল।

না.হাসান/সাএ