চুনোপুঁটি ধরছেন, মাদকচক্রের রাঘব বোয়ালরা কোথায়? যুবদের বাঁচান, সুপ্রিম নির্দেশ

আব্রাহাম থমাস

মাদক পাচার রুখতে এবার বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। চুনোপুঁটি নয় রাঘব বোয়ালদের ধরার জন্য সরকারকে নির্দেশ আদালতের। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক যে ড্রাগ পাচার চক্র রয়েছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। অল্প সময়ের জন্য যে মাদক পাচার চক্র রয়েছে সেগুলিকে ভাঙার তুলনায় আন্তর্জাতিক চক্রকে ভেঙে দিতে হবে। 

 মধ্যপ্রদেশে ১১ কেজি আফিম সহ এক আফিম চাষি জামিনের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।  দেশের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব বেঞ্চ এই শুনানি শুনেছে এদিন।

অভিযুক্ত সাবিরের ১০ বছরের জেল হয়েছে। তিনি পাঁচ বছর জেল খেটে ফেলেছেন। তার জামিন দিয়ে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে ভারত সরকার প্রকৃত দোষীদের ধরতে পারে না। অল্প সময়ের জন্য যারা করছে সেই পাচারকারী, চাষিদের ধরে নিয়ে আসে। যারা সিন্ডিকেট চালাচ্ছে তারা কোথায় ধরছে। এককথায় চুনোপুটিদের ধরছে সরকার, রাঘববোয়ালরা কোথায়? কার্যত আদালতে সেই প্রসঙ্গই সামনে আনে এদিন।

অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি জানিয়েছেন, দুবার ওই ব্যক্তির শাস্তি হয়েছে। তাকে ছাড়া যাবে না। 

বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, রাঘব বোয়ালদের ধরার চেষ্টা করছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিরাট মাদক সহ তিনি ধরা পড়েছেন এমনটাও নয়। তার কৃষি জমি থেকে এই আফিম পাওয়া গিয়েছিল। বিচারপতিরা জানিয়েছেন পুরো মেয়াদের শাস্তি তিনি পেতে পারেন না। তিনি পাঁচবছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। তিনি এবার জামিন পেতে পারেন।

এদিকে ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশ আদালতে তার সাজার বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এরপরই শীর্ষ আদালতে যান তিনি। ১৯৯৬ সালেও তাকে গ্রেফতার করেছিল নার্কোটিক্স ডিপার্টমেন্ট।

জমিতে তল্লাশি চালিয়ে ১১.৪ কেজি আফিম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ১০ বছরের জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা হয় তার। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup