‘চুপ করে থাকলে সমস্য়া মিটবে না, মুখ খুলুন,’ পরামর্শ প্রধান বিচারপতির

প্রদীপ কুমার মিত্র

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পড়ুয়া ও আইন পড়ুয়াদের কাছে পরামর্শ দিয়েছেন, চুপচাপ থেকে গিয়ে কোনও সমস্য়ার সমাধান হবে না। আলোচনার মাধ্যমে , কথা বলার মাধ্যমে সমস্যা মিটবে। পাশাপাশি সংবিধানের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।

নাগপুরের মহারাষ্ট্র ন্যাশানাল ল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তনে শনিবার তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধান কথা বলার সাহস যোগায়। আইনের মতো মহান পেশায় যারা আসেন তাদের ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধকে তুলে ধরতে হবে। এটা ভুললে চলবে না যে ভারতীয় সংবিধান সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের দায়িত্ব দিয়েছে। এই অধিকারের জন্য আমাদের কথা বলতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন যদি আইনের পড়ুয়ারা সংবিধানের মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হন তবে তারা কোনওদিন সঠিক রাস্তা থেকে সরে যাবেন না।

তিনি বলেন, স্থিতাবস্থার জন্য আপনি নানা অজুহাত পেয়ে যাবেন কিন্তু আপনি যখন রাস্তার সংযোগস্থলে এসে দাঁড়ান তবে যে পথে বেশি মানুষ যাননি সেটাই ধরতে ভুলবেন না।

ভারতীয় সংবিধানের জনক বাবাসাহেব আম্বেদকরের কথা তুলে ধরেন তিনি। কীভাবে তিনি সমস্ত সংকটকে মোকাবিলা করে এগিয়ে গিয়েছিলেন সেকথাও তুলে ধরেন তিনি।একটি গণতান্ত্রিক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংবিধান অত্যন্ত সহায়ক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ন্যায় বিচার আর চ্যারিটির মধ্য়ে ফারাকটা বুঝতে হবে। চ্য়ারিটির মাধ্যমে আমরা অল্পক্ষণের মধ্য়ে কারোর যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে পারি। কিন্তু এটা করে আমরা তার ন্যায় বিচারের অধিকারকে কেড়ে নিলাম। সেকারণে আমাদের লড়াইটা ঠিক চ্যারিটির মতো নয়, এটা হল ন্যায় বিচারকে নিশ্চিত করার পথ।

সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সংবিধানের সংক্ষিপ্ত অংশ কিন্তু এটির আলাদা ওজন রয়েছে। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন । সংবিধানের নানা দিক তুলে ধরেছেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আইনের ছাত্রদেরও দিশা ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।