মোদীর ঠাসা কর্মসূচি,৯০ ঘণ্টার কম সময়ে ১০,০০০ কিমি, রুটিন দেখলে চোখ কপালে উঠবে

একেবারে ঠাসা প্রোগ্রাম। ৯০ ঘণ্টার থেকেও কম সময়। তার মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১০,৮০০ কিমি পথে পেরবেন। অবাক করার মতোই ঘটনা। আগরতলা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে বেঙ্গালুরু। একেবারে ঠাসা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন তিনি। অন্তত ১০টি সভায় বক্তব্য় রাখবেন তিনি। শুক্রবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথমে তিনি লখনউতে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি মুম্বইতে যান। সেখান থেকে ত্রিপুরা। তারপর তিনি আবার দিল্লিতে ফিরে আসেন।

এরপর তিনি আবার দিল্লি যাবেন। সেখান থেকে তিনি যাবেন রাজস্থান। বেঙ্গালুরু। তারপর আবার ত্রিপুরা।

মোদী প্রথমে লখনউ থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেখানে তিনি গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশ নেন। এরপর মুম্বইতে গিয়ে তিনি দুটি বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা করেন। এরপর আলজামিয়া ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন তিনি।

একদিনে প্রায় ২৭০০ কিমি পথ পের হন তিনি। এরপর তিনি ত্রিপুরাতে যান। এরপর এদিন আমবাসা ও রাধা কিশোরপুরে সভা করেন।

পরের দিন তিনি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিনি মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর ২০০ বছর জন্মতিথির সূচনা করবেন।এরপর তিনি রাজস্থানে উড়ে যাবেন। সেখানে তিনি একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। একই দিনে পরে তিনি বেঙ্গালুরু যাবেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী ফের ত্রিপুরা আসবেন। এরপর আগরতলায় তিনি সভা করবেন। সেখান থেকে ভোট মুখী ত্রিপুরায় তিনি প্রচারে ঝড় তুলবেন। তারপর আবার তিনি ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

তবে মোদীর এই কর্মসূচি দেখে হতবাক অনেকেই। দীর্ঘ জার্নি। দীর্ঘ পথ। তবুও অক্লান্ত মোদী। প্রাণশক্তিতে ভরপুর। এক রাজ্যে থেকে অপর রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। কোথাও ভোট প্রচার। বিরোধীদের তুলোধোনা করছেন। কোথাও আবার একাধিক সরকারি প্রকল্পের সূচনা। আবার অন্যত্র রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। বিভিন্ন সামাজিক , শিক্ষামূলক কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন তিনি। আর প্রতিটি প্রায় ঘড়ি ধরে। তাঁর এই ঠাসা কর্মসূচি এখন গোটা দেশের কাছে চর্চার বিষয়।