Bishnuprasad Sharma: ‘বাংলায় থাকতে চাই না’, সুর চড়ালেন বিজেপি বিধায়ক, দ্বিচারিতার খোঁচা কুণালের

বাংলা ভাগের জিগির বারবার তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক থেকে সাংসদরা। সেটা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তার ঠিক দু’‌দিনের মাথায় বাংলায় থাকতে চান না বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। আর তারপর থেকেই রাজ্য–রাজনীতিতে আবার নতুন করে ভাগাভাগির কথা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক?‌ বিজেপি নেতাদের ৪৮ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছিল বাংলা ভাগের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে। তার মধ্যেই শুক্রবার বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘এই নিয়ে আমার অবস্থানে কোনও বদল হয়নি। আমি বাংলায় থাকতে চাই না।’ আবার জিটিএ পাহাড়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না বলেও সুর চড়ান তিনি। তাঁর এই মন্তব্যকে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা বলে তুলে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দলীয় বিধায়কের এই বক্তব্যে সিলমোহর দেয়নি বিজেপি।

ঠিক কী বলছে বিজেপি?‌ বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যের পর রাজ্যভাগের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী বিধানসভায় এই নিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণের উদ্যোগও নিয়েছে সরকারপক্ষ। কারণ কার্শিয়াংয়ের এই বিজেপি বিধায়ক পৃথক রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে আলিপুরদুয়ারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কে রাজ্য ভাগ চায়? বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না। আমরা কখনও সে কথা বলিনি।’ আবার এই ইস্যুতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি ভেবে দেখুন কোথায় থাকবেন। বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না। দল নীতির ভিত্তিতে চলে, ব্যক্তির চাওয়ার উপর নয়।’

তৃণমূল কংগ্রেস কী বলছে?‌ এই বিষয়ে কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার মন্তব্যকে নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে মুখে এক কথা আর কাজে আর এক। ঝুলি থেকে বেড়াল বের করে দিয়েছেন ওদেরই বিধায়ক। এটাই বিজেপির দ্বিচারিতার প্রমাণ।’ পরে অবশ্য বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, ‘প্রস্তাব এলে আমার অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেব। পাহাড়ের মানুষ জিটিএ চায় না। জিটিএ পাহাড়ের স্বপ্নপূরণ করতে পারবে না।’ জবাবে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বলেন, ‘বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার পৃথক রাজ্য দেওয়ার মালিক। তারাই ঠিক করুক পাহাড়ে কী হবে। আমরা তো পাহাড়ের উন্নয়নের পক্ষে।’‌