Vultures at VCBC in Buxa: শকুনের সংখ্যা বাড়াতেই হবে, পরিবেশে ভারসাম্য ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ

বিপন্ন প্রাণী সংরক্ষণের তৃতীয় ধাপে ২০টি শকুনকে নিয়ে আসা হল রাজাভাতখাওয়ার শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্রে। বক্সার টাইগার রিজার্ভে রয়েছে এই বিশেষ কেন্দ্র। চলতি সপ্তাহেই বিশেষ প্রজাতির শকুন আনা হল সেখানে। বিপন্ন প্রাণী বাঁচিয়ে রাখতে ও সেগুলির সংখ্যা বাড়াতে বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে তারই তৃতীয় ধাপে উত্তরবঙ্গে ২০টি বিপন্ন শকুনকে সংরক্ষণ করা হল।

বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডেপুটি ফিল্ড ডাইরেক্টর পারভিন কাসওয়ান সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, এই নিয়ে তৃতীয় দফা শকুন আনা হল এই সংরক্ষণ কেন্দ্রে। হোয়াইটব্যাকড (ঘাড় ও ডানার পিছন দিক সাধারণত সাদা হয় এমন প্রজাতির) প্রজাতির শকুন দক্ষিণ এশিয়ায় দিন দিন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। তৃতীয় দফা শকুন আনার পর রাজাভাতখাওয়ার মোট শকুন সংরক্ষণও বেড়েছে অনেকটাই। গর্বের সঙ্গে তিনি জানান, এই মুহূর্তে সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় হোয়াইট ব্যাকড শকুন রয়েছে রাজাভাতখাওয়ায়।

২০টি শকুনের মধ্যেও অবশ্য ভাগ রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়াতে নিয়ে আসা শকুনগুলির মধ্যে ১৩টি এশিয়ান হোয়াইটব্যাকড শকুন। বাকি সাতটি হিমালয়ের গ্ৰিফন শকুন। ১৩টি এশিয়ান শকুনই মোটামুটি প্রাপ্তবয়স্ক। তাই নজরদারির জন্য এদের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ পিটিটি (প্ল্যাটফর্ম ট্রান্সমিটার টার্মিনাল) লাগানো থাকছে। পিটিটি-এর সাহায্যে পাখিগুলির গতিবিধি লক্ষ্য করতে সুবিধা হয়। যেহেতু এগুলি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, তাই মনে করা হচ্ছে, এই রাজ্যেই থাকবে এরা। তবে প্রতিবেশী রাজ্য যেমন আসাম, মেঘালয় বা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানে যেতেও পারে শকুনের দল। হিমালয়ের গ্ৰিফন শকুনগুলি তাদের জন্মস্থানের আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করবে বলে ধারণা। মধ্য এশিয়া, চিন বা হিমালয়ের বেশি উচ্চতায় এরা ঘোরাফেরা করতে পারে।

আগামী ছয়মাস এদের চলাফেরায় নিয়মিত নজর রাখবে বনদফতর। এই সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা। ট্রান্সমিটারের তথ্য দেখে বোঝা যাবে কোথায় কোথায় এগুলি ঘোরাফেরা করছে। তা থেকেই ২০টি শকুনের জন্য এই রিজার্ভ যোগ্য বাসস্থান কিনা বোঝা যাবে। এখনও পর্যন্ত ৩১টি শকুন ছাড়া হয়েছে রাজাভাতখাওয়া সংরক্ষণ কেন্দ্রে। এর মধ্যে ২০টি শকুন শুক্রবার খাঁচা থেকে ছাড়া হয় বনের ভিতর। সংরক্ষণ কেন্দ্রের আধিকারিক জানাচ্ছেন, শকুনগুলি এবারে সাধারণ পাখিদের সঙ্গে মিশে যাবে। নিজেদের রক্ষা করার উপায়ও খুঁজে নেবে। পাশাপাশি খাবারের সন্ধানও নিজেই করতে পারবে এরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup