নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীকে আক্রমণ করে দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন অভিষেক: শংকর

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ভারতীয় নাগরিকের মত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। শনিবার তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি জামাতের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ প্রমাণিত। দেশে ও রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে তারা।

এদিন শংকরবাবু বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি জনসভার মধ্যে দাঁড়িয়ে অভিষেকবাবু যে মন্তব্য করছেন তা দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। কোনও জনসভায় দাঁড়িয়ে দেশের নিরাপত্তায় যুক্ত বাহিনীকে জবাবদিহি করতে বলছেন, এটা খুব আশ্চর্যের মনে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলটা দেশ ও রাজ্যের নিরাপত্তার প্রশ্নে ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে তার প্রমাণ আমরা এর আগেও পেয়েছি’।

তাঁর দাবি, ‘বাংলাদেশের তথাকথিত মৌলবাদ ও তার পর এই ধরণের ঘটনা প্রমাণ করছে দেশকে অস্থির করে তোলাই এর লক্ষ্য। সেজন্য একটি মৃত্যুকে সামনে রেখে তিনি যে আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন তাতে নিরাপত্তাবাহিনীর মনোবলে ভাঙবে, সঙ্গে রাজ্যের মধ্যেও অস্থিরতা তৈরি হবে। তাঁর কিছু বলার থাকলে তিনি সাংসদ হিসাবে লোকসভায় প্রশ্ন তুলতে পারতেন। অধিবেশকে বক্তব্য না রেখে তিনি জনসভায় মন্তব্য করছেন রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য। উত্তরবঙ্গের মানুষ যখন তাদের সম্মান – মর্যাদার প্রশ্ন তুলছে তখন তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এই চেষ্টা’।

শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় এক জনসভায় যোগদান করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাজবংশী যুবক প্রেমকুমার বর্মনকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। তাঁকে ১ – ২ হাত দূর থেকে গুলি করা হয়েছে। কাশ্মীরে যে বন্দুক জঙ্গি মারার কাজে ব্যবহার করা হয় সেই বন্দুক দিয়ে প্রেমকুমারকে মেরেছে বিএসএফ। ২৪ বছরের যুবকের দেহ থেকে ১৮০টা গুলি উদ্ধার হয়েছে। সে যদি পাচার করে থাকত তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে পারত। আমি বিএসএফ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও নিশীথ প্রামাণিককে চ্যালেঞ্জ করছি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মানুষের কাছে ক্ষমা চাও। যারা প্রেম কুমারকে গুলি করেছে তাদের মাথায় প্রধানমন্ত্রী – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যার হাত থাকুক না কেন, শেষ দেখে ছাড়ব।