মায়ানমারে সাধারণ মানুষকেও বন্দুকের ঢালাও লাইসেন্স, কী হতে পারে এতে? Report

শোভিত গুপ্তা

মায়ানমারে সামরিক শাসন চলছে। এবার সরকারি তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যারা সরকারের প্রতি অনুগত তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য় আবেদন করতে পারেন। মিডিয়া রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে।

রয়টার্স সহ অন্যান্য মিডিয়া এই লিকড ডকুমেন্টটি খতিয়ে দেখেছে। কারা এবার বন্দুকের লাইসেন্স পেতে পারেন তা নিয়েও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে এভাবে সিভিলিয়ানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে জুন্তার পক্ষের গ্রুপগুলির হাতে অস্ত্র চলে যাবে। একদিকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মাঝেমধ্য়েই বিপক্ষের লড়াই হচ্ছে। সিভিলিয়ানদের হাতে অস্ত্র এলে আরও রক্তারক্তি বাড়তে পারে।

কারা এই লাইসেন্স পেতে পারেন?

১৮ বছর বয়স থেকে এই লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। যাদের সুরক্ষার অভাব সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদেরকেই এই বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হবে।

তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ১৫ পাতার এই নথির পুরোটা যাচাই করতে পারেনি। কবে থেকে এই আইন কার্যকরী তা নিয়ে এখনও পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। এক সামরিক কর্তাকে এনিয়ে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। সব মিলিয়ে এই নির্দেশকে ঘিরে কিছুটা ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত সামরিক আধিকারিকরাও পিস্তল, রাইফেল, সাব মেশিনগানের মতো অস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। এমনকী ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই সামরিক সরকার প্রয়োজনে অস্ত্র আমদানি, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অনুমোদনপ্রাপ্ত গোলাবারুদ বিক্রি করতে পারবে।

এদিকে সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে অশান্ত রয়েছে মায়ানমার। জুনতার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন অনেকে। তার জেরে একেবারে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়। গত বছরে প্রায় ১৯০০০ লোকের মৃত্যু হয় এই লড়াইয়ের জেরে।

এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে প্রচন্ড অশান্ত পরিস্থিতির জেরে ১.২ মিলিয়ন মানুষ অন্যত্র আতঙ্কে সরে যায়। প্রায় ৭০,০০০ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। রাষ্ট্র সংঘের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছিল। এটাকে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।

তবে এবার সাধারণ মানুষকে পাইকারি হারে অস্ত্রের লাইসেন্স দিলে তার পরিণতি কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। সেই লাইসেন্স প্রাপ্ত অস্ত্রের যদি ব্যবহার হয় তবে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।