Team India Incredible Record When Rohit Sharma Scores Hundred Continues, Know Details

নাগপুর: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টে (IND vs AUS 1st Test) ইনিংস ও ১৩২ রানের ব্যবধানে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। ম্যাচে কঠিন পিচে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়ে বেশ নজর কেড়েছেন অধিনায়ক রোহিতও। টেস্টে রোহিতের শতরান ও ভারতের জয় যেন সমার্থক। নাগপুরে আরও একবার এই তত্ত্ব সত্যি প্রমাণিত হল। এর আগে সাতটি টেস্ট ম্যাচে রোহিত শতরান হাঁকিয়েছিলেন। সবকয়টি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড নাগপুরেও অব্যাহত রইল।

রোহিতের শতরানে ভারতের জয়

২০১৩ সালের নিজের অভিষেক টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। সেই ম্যাচে ভারত ইনিংস ও ৫১ রানে জয় পায়।

ওই বছরে একই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আবারও শতরান হাঁকান বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক। ১১১ রান করেন তিনি। ভারত সেই ম্যাচে ইনিংস ও ১২৬ রানে জেতে।

পরের টেস্ট শতরানের জন্য চার বছর অপেক্ষা করতে হয় রোহিতকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ভারত ইনিংস ও ২৩৯ রানে জেতে।

দুই বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্টে ওপেন করার সুযোগ পান রোহিত। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেও শতরান করেন তিনি। রোহিতের ১৭৬ ও ১২৭ রানের দুই ইনিংসে ভর করে ভারত ২০৩ রানে ম্যাচে জয় পায়।

ওই সিরিজেই আসে টেস্টে রোহিতের প্রথম দ্বিশতরান। ২১২ রান করে ভারতকে ইনিংস ও ২০২ রানে জয় এনে দেন রোহিত।

বছর দু’য়েক আগে ইংল্যান্ড সফরেও জ্বলে উঠেছিল রোহিতের ব্যাট। সেখানে ১৬১ রানের ইনিংসে প্রথমে ভারতকে ৩১৭ রানে জয় এনে দেন রোহিত। এরপর আরেক ম্যাচে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই ম্যাচেও ভারত ১৫৭ রানে জেতে।

এরপর বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির এই ম্যাচে নাগপুরে ১২০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ধারা বজায় রেখে এই ম্যাচেও টিম ইন্ডিয়া জয় পেল। এই ম্যাচে ভারতের দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা ও আর অশ্বিন দুই ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট নিলেও, রোহিত কিন্তু দলের দুই ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজকে বাহবা দিলেন।

ফাস্ট বোলারদের বাহবা

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে উঠে রোহিত বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, পেসারদের প্রথম দুই ওভার ম্যাচের রাশ আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। শুরুতেই যদি প্রতিপক্ষকে ২/২ করে দেওয়া যায়, তাহলে সুবিধাজনক জায়গায় থাকা যায় তো বটেই। প্রতিপক্ষ চাপে পড়বেই কারণ আমাদের স্পিন বিভাগ ভীষণ শক্তিশালী। তবে এই ধরনের পিচে আমাদের পেসাররাও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটা ওরা খুব ভাল জানে।’

আরও পড়ুন: নাগপুর টেস্টের মাঝেই পাঠানের ছন্দে নেচে উঠলেন কোহলি