Nursing Home in Baruipur: নার্সিংহোমের ভুলে পুত্র সন্তান বদলে গেল কন্যা সন্তানে, সদ্যোজাতকে থাকতে হল হোমে

একটি নার্সিংহোমে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন প্রসূতি। কিন্তু, ভুল করে নার্সিংহোম লিখে ফেলেছিল কন্যা সন্তান। আর নার্সিংহোমের সেই ভুলের জেরেই তিন দিন ধরে সদ্যোজাতকে থাকতে হল একটি সরকারি হোমে। সরকারি বিভিন্ন নিয়ম থাকার কারণে ওই সদ্যোজাতকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। যদিও শেষমেষ আজ বুধবার সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর ওই সদ্যোজাতকে তার পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলপির পদ্মপুকুরের বাসিন্দা রুমা হালদার গত ৯ ফেব্রুয়ারি বারুইপুরের একটি নার্সিংহোমে ওই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপরে ঘটে বিপত্তি। সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চলে তার চিকিৎসা। আর তারপরেই জটিলতা তৈরি হয়। এনআরএস হাসপাতাল সূত্রের খবর, নার্সিংহোমের তরফে রেফার করার সময় লেখা ছিল কন্যা সন্তান। কিন্তু আদতে দেখা যায় সদ্যোজাতটি পুত্র সন্তান। এদিকে, শিশুটিকে যারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা ঠিকমতো পরিচয় জানাতে পারেননি। ফলে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে শিশুটিকে রেখে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের তরফে সদ্যোজাতকে তুলে দেওয়া হয় শিশুকল্যাণ কমিটির কলকাতা শাখার হোমে। সোমবার থেকে ওই শিশুটিকে হোমে রাখা হয়েছে।

শিশুকল্যাণ কমিটির কলকাতা শাখার চেয়ারপার্সন মহুয়া সুর রায় জানান, ‘সদ্যোজাতের বাবা ও সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের তরফে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে। পুলিশও রিপোর্ট দিয়েছে। আরও একটি রিপোর্ট আসার পরেই মা-বাবার হাতে সদ্যোজাতকে তুলে দেওয়া হবে।’

এদিকে, সমস্যার সমাধানে এনআরএস হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় বারুইপুর নার্সিংহোমে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে ১০ ফেব্রুয়ারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়। সদ্যোজাতের বাবা স্বপন হালদারও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নার্সিংহোমের তরফে ভুল স্বীকার করে জানানো হয়েছে, তারা হাসপাতালে বিষয়টি জানিয়েছেন। তারপরেও সদ্যোজাতকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি এনআরএস কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতালের দাবি, নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি শিশুর পরিবার। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু বিতর্কিত তাই সবদিক খতিয়ে দেখেই সদ্যোজাতকে বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup