মোরেলগঞ্জে বিটিসিএল এর টেলিফোন অচল বিল সচল | BD24Live.com

প্রকাশিত: ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফাহাদ হোসেন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) থেকে: মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একসময় মানুষের একমাত্র ভরসা ছিলো টেলিফোন। তখন প্রসংশা কুড়িয়েছিল টেলিফোন অফিসের সেবা। দেশে এবং বিদেশে যারা অবস্থান করতেন, তাদের পরিবারের লোকজন রাত-দিন ঘন্টার পর ঘন্টা এখানে অপেক্ষা করতেন স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে টেলিফোনের ব্যাবহার।সময়ের বিবর্তনে সবার হাতে হাতে এখন মোবাইল থাকায় টেলিফোনের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সুযোগ-সুবিধার কারণে দিন দিন টেলিফোন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর সেবা না পেয়েও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গ্রাহকদের প্রতি মাসেই গুনতে হচ্ছে টেলিফোন বিল।তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেবা না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে ১ একরের ও বেশী জায়গা নিয়ে বিটিসিএল এর নিজস্ব ভবন দাড়িয়ে আছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিটিসিএলের লাইনে কাজ না করায় অধিকাংশ লাইন নষ্ট হয়ে গেছে। জনবল সংকটের কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুনরায় সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অচল লাইনে বিল সচল থাকায় গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।মোরেলগঞ্জ বিটিসিএল অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় সরকারি অফিস ও ব্যক্তি মালিকানা মিলে প্রায় ৭৮ টি টেলিফোনের সংযোগ রয়েছে। ৭৮ টির মধ্যে অধিকাংশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অচল। প্রায় আড়াই বছর যাবৎ টেলিফোন অফিসের সাথে সেবা গ্রহিতাদের কোন যোগাযোগ নেই। বিটিসিএল মোরেলগঞ্জ অফিসের কন্ট্রোল বলা যায় বন্ধ রয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও নিয়মিত প্রতি মাসে সর্বনি ১৭৮ টাকা বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে অনেকেরই। আবার অনেকেরই বাকী রয়েছে অনেক টাকার বিল।

এদিকে যাদের টেলিফোনে সংযোগ রয়েছে কিন্তু সেবা পাচ্ছে না। তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট মহলকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। অথচ মাসের পর মাস বিল আসছে। ফলে গ্রাহকরা সেবা না পেয়েও বাধ্য হয়ে বিল পরিশোধ করছেন।

এছাড়া অধিকাংশ গ্রাহক এখন আর বিটিসিএল যোগাযোগ করেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোরেলগঞ্জ অফিসে দুজন অফিস স্টাফ রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে কোন রকম রংঙের প্রলেপ দেয়া হয়েছে। এই অফিসের স্টাফরা দিনের পুরটা সময় অলস সময় পার করে

উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের অফিসে টেলিফোনের লাইন অচল কিন্তু বিল সচল রয়েছে। প্রতি মাসের সর্বনিম্ন বিল বছরে দিতে হচ্ছে। সরকারি বিল কি আর করার, লাইন না থাকলেও আমাদের বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে। টেলিফোন অফিসে বারবার বলার পরেও আমরা এর কোন সমাধান পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে বিটিসিএল এর বাগেরহাট জেলার সহকারী ব্যাবস্হাপক আক্কেল আলী এ প্রতিবেদককে বলেন মোরেলগঞ্জের অচল লাইন সচল করার জন্য কোন গ্রাহক অফিসে যোগাযোগ করে না, যাদের টেলিফোন সেট নেই বিল হচ্ছে তারা অফিসে জানালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে, তবে খুব শীগ্রই বিটিসিএল টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ একত্রে চালু করবে।

সালাউদ্দিন/সাএ